চোরা শিকারিদের হাতে খুন হলেন এক বনকর্মী। রাতে টহল দেওয়ার সময় হামলা চালায় এক দল চোরা শিকারি। যারা মূলত হরিণ শিকার করে। মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেহ উদ্ধার করে কোস্টাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বন দফতর সূত্রে খবর, নিহত বনরক্ষীর নাম অমলেন্দু হালদার (৫৯)। রায়দিঘির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি শনিবার রাতে বোট নিয়ে টহল দিতে বেরিয়েছিলেন। অমলেন্দু হালদারের সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বনকর্মী ও বোটের দুই কর্মী। তাঁরা সন্দুরবন রেঞ্জ এলাকায় নেতাধোপানি ক্যাম্প এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় হরিণ শিকারির হামলার মুখে পড়েন তাঁরা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে অমলেন্দু হালদারের মাথায় আঘাত করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে তাঁর বাকি চার সঙ্গী নদীতে ঝাঁপ দেন।
পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। বনকর্মীর মাথায় কুড়ুল জাতীয় অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। তাঁর মাথায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। তবে গুলি করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। কারণ মৃত বনকর্মীর দেহে কোনও গুলি চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন। ভোটের মধ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি, BJP কর্মী খুনের তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরে NIA
পালিয়ে আসা বনকর্মীরা জানিয়েছে, তারা হরিণ শিকারিদের একটি ভুটভুটি দেখতে পেয়ে তাকে তাড়া করেন। তাদের ধরে ফেলতে হামলা চালায় চোরাশিকারিরা। বেগতিক দেখে চার বনকর্মী জলে ঝাঁপ দেন। সেই সময় অমলেন্দুবাবুর মাথার পিছন দিক থেকে হামলা চালানো হয়। কুড়ুল দিয়ে কোপ দেওয়া হয়।
এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানান,বন দফতরের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এইটুকু পরিষ্কার যে, গুলি চলেনি। দেহে গুলি লাগার চিহ্ন নেই। ধারালো কিছুর আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে।’
আরও পড়ুন। কেএমডিএ–হিডকো’কে শোকজ করল পরিবেশ আদালত, চাপ বাড়ল রাজ্য সরকারের
আরও পড়ুন। জমি অধিগ্রহণের পরেও মালিককে দাম মেটানো হয়নি, DM-র বাংলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ