অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি নরম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ফের একবার এই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সকালে নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, ১৫০০ বাংলাদেশি ধরে দিয়েছিল BSF, তার মধ্যে ১৪০০কে জামিন দিয়ে দিয়েছে।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার তার কাজ করছে। সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন মন্ত্রী। বিদেশ মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে। ভারতের বিদেশ সচিব বাংলাদেশে গিয়ে বার্তা দিয়ে এসেছেন। ৬০০ কিলোমিটার জায়গায় বেড়া নেই, এদের দয়া করে জমিটা দিতে বলুন। পুলিশ আর বিএসএফের সমন্বয় বাড়াতে বলুন। ১৭টা চৌকির জন্য জমি চেয়েছে, দিতে বলুন। ২০২৩ সালের ১৫০০ বাংলাদেশি ধরে দিয়েছিল বিএসএফ। ১৪০০কে জামিন দিয়ে দিয়েছে। এবছর প্রায় ১০০০ ধরে দিয়েছে বিএসএফ ৯০০ জনকে জামিন দিয়ে দিয়েছে।’
তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। শুধু বিজেপি নয়, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারকে বাংলাদেশি বলে ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সম্প্রতি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুন বাংলাদেশি নাগরিক বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্বকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা চলছে হাইকোর্টে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যে ব্যক্তিকে বাবা পরিচয় দিয়ে লাভলি খাতুন ভারতীয় নথি তৈরি করেছেন তিনি লাভলির আসল বাবা নন। এমনকী সেজন্য গ্রামবাসীদের সাক্ষী বানিয়ে জোর করে সইও করানো হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।