মোথাবাড়ি হিংসার ঘটনায় পুলিশি নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির আইনজীবী নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এই হিংসর ঘটনা ধৃতদের একটি তালিকা প্রকাশ করে তরুণজ্যোতি অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে অপর সম্প্রদায়ের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'মালদহের মোথাবাড়ি ঘটনা: পুলিশের নিরপেক্ষতা কোথায়? মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রতিক ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করেছে যে পশ্চিমবঙ্গের বিচার ব্যবস্থা একতরফা হয়ে গিয়েছে। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করছে, আমি সেই তালিকায় তথাকথিত 'দুধ দেওয়া গুরুদের' দেখতে ব্যর্থ। মনে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশেষ জাতের গরুর দুধ পান করেন, কিন্তু সাধারণ হিন্দুরা কেন তাদের আগ্রাসনের শিকার হবেন?' (আরও পড়ুন: জারি ১৬৩ ধারা, '৪-৫টা গাড়ি নিয়ে দাপাচ্ছেন সাবিনা ইয়াসমিন', কেমন আছে মোথাবাড়ি?)
তরুণজ্যোতি এরপর আরও লেখেন, 'অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একটি তালিকা, অ্যাডভোকেট রিঙ্কি চ্যাটার্জির প্রোফাইল থেকে আমি পেয়েছি। সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে হিন্দু সম্প্রদায় পক্ষপাতদুষ্ট নীতির শিকার হয়েছে। যারা ফেসবুক লাইভে প্রকাশ্যে দোকান ভাংচুর করেছে এবং হিংসাত্মক হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কারণ তারা ক্ষমতাসীন দলের বিশেষ ভোট ব্যাঙ্কের অন্তর্ভুক্ত। এই ঘটনাটি আরও একবার হাইলাইট করে যে পশ্চিমবঙ্গের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা বজায় রাখার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি অগ্রাধিকারমূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। এমনকী যখন হিন্দুদের ওপর হামলা হয়, তখন অপরাধীদের বদলে গ্রেফতার করা হচ্ছে ভুক্তভোগীদেরই। প্রশাসন কি তাহলে হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে দেখে? এই বৈষম্যমূলক অবস্থান কি গণতান্ত্রিক এবং ন্যায়সঙ্গত? আর এটাই কি পশ্চিমবঙ্গের নতুন বাস্তবতা?' (আরও পড়ুন: 'আক্রমণ হচ্ছ ধর্মের ওপর, তাই...', বিধানসভা ভোটের আগে বড় বার্তা কার্তিক মহারাজের)
আরও পড়ুন: রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে হিংসার জের, জরিমানা নেপালের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে
এদিকে জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ির হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৯টি মামলা রুজু হয়েছে। ৬১ জন গ্রেফতার হয়েছে। সেই এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ মার্চ মালদা জেলার মোথাবাড়িতে হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি। অভিযোগ করা হয়, মোথাবাড়ি অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ে হিন্দুদের দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। লুঠপাট চালানো হয়েছিল।