হস্তরেখাবিদ্যা জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যেখানে হাতের তালুর বিশদে বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানা যায়। যেখানে হাতের রেখা, চিহ্ন, তিল ইত্যাদির মাধ্যমে ভবিষ্যৎ জানা যায়। হস্তরেখাবিদ্যা অনুসারে, হাতে বিষ্ণু রেখা থাকা খুবই শুভ। হস্তরেখাবিদ্যা থেকে এ সম্পর্কে বিশদ ভাবে জেনে নেওয়া যাক, যে কী ভাবে এই রেখা ব্যক্তির ভাগ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
হাতের রেখা দেখে একজন ব্যক্তির ভবিষ্যৎ অনেকাংশে জানা যায়। সেটা তার ক্যারিয়ার, আর্থিক অবস্থা, বিবাহ বা স্বাস্থ্য ইত্যাদি যে কোনও বিষয়ই হোক। এর জন্য, হাতের রেখা, আকৃতি, চিহ্ন, তিল, চিহ্ন ইত্যাদি অধ্যয়ন করা হয়। হস্তরেখাবিদ্যায়, কিছু নির্দিষ্ট রেখা এবং চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা হাতে থাকলে, ব্যক্তিকে খুব ভাগ্যবান করে তোলে। এই ধরনের ব্যক্তি তার জীবনে উচ্চ পদমর্যাদা অর্জন করেন, প্রচুর সম্পদ অর্জন করেন এবং সম্মান পান। এমনই একটি শুভ রেখা হল বিষ্ণু রেখা। এটা বলা যেতে পারে যে যাদের হাতে এটি থাকে তারা ভাগ্যবান হয়ে জন্মগ্রহণ করে।
যখন হাতের তালুতে হৃদয়রেখা থেকে একটি রেখা বের হয়ে গুরু পর্বতে এমনভাবে যায় যে হৃদয়রেখা দুটি ভাগে বিভক্ত দেখা যায়, তখন তাকে বিষ্ণু রেখা বলা হয়। যদি এই দুটি রেখাই গুরু পর্বত (গুরুর পর্বত) পর্যন্ত যায়, তাহলে তা ব্যক্তিকে খুব ভাগ্যবান করে তোলে। সে তাকে প্রচুর সম্পদ এবং খ্যাতি দিয়ে আশীর্বাদ করে। এছাড়াও, ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ আশীর্বাদ সর্বদা এই ব্যক্তিদের উপর থাকে। যার ফলে সে প্রতিটি কাজে সাফল্য পায়। সে সহজেই খ্যাতি এবং সম্পদ অর্জন করে।
যদি বিষ্ণুরেখার দৈর্ঘ্য কম হয়, তাহলে ব্যক্তি এর থেকে কম সুবিধা পান। সে সাফল্য এবং সম্পদ পায় কিন্তু পূর্ণ সুবিধা পায় না। সাফল্যের জন্য তাকে আরও অপেক্ষা করতে হবে। তবে তার বিবাহিত জীবন সুখী থাকে। তিনি ধর্মীয় কর্মকাণ্ডেও আগ্রহী হন। এই ধরণের চিহ্ন যুক্ত লোকেরা সৎকর্মপরায়ণ হন, অর্থাৎ তাদের আচরণ ভালো হয়।