লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। বৃহস্পতিবার বিলটি পেশ করা হয়েছিল সংসদের উচ্চকক্ষে। সেখানেও প্রায় ১২ ঘণ্টা আলোচনা হয় এই বিলটি নিয়ে। এরপর তা অনুমোদিত হয় রাজ্যসভাতেও। বিলটির পক্ষে ১২৮টি এবং বিপক্ষে ৯৫টি ভোট পড়ে উচ্চকক্ষে। রাত ২টো ৩৪ মিনিটে এই ভোটাভুটির ফল ঘোষিত হয়। লোকসভায় এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ২৮৮ জন সাংসদ, বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ২৩২ জন সাংসদ। এখন যেহেতু বিলটি লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভাতেও পাস হয়েছে, এবার রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে বিলটি আইনে পরিণত হবে। উল্লেখ্য, ওয়াকফ সম্পত্তির প্রশাসন ও পরিচালনার উন্নতির লক্ষ্যে মোদী সরকার এই বিলটি এনেছিল বলে দাবি শাসকপক্ষের। তবে সংসদের উভয় কক্ষে ক্ষমতাসীন এনডিএ এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে প্রচণ্ড সংঘাত হয়েছে। (আরও পড়ুন: ইউনুসের উস্কানির আবহে উঠেছে বাংলাদেশ ভাগের দাবি, এরই মাঝে 'কাজ' শুরু ডোভালের?)
আরও পড়ুন: গম্ভীর মুখে পাশাপাশি মোদী-ইউনুস, ব্যাঙ্ককে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে এল বড় আপডেট
গতকাল রাত ১২টা ৫৫ নাগাদ ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে বিতর্কের উপরে জবাবি ভাষণ দেওয়া শুরু করেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তারপর রাত ১টা ১১ মিনিটে রিজিজুর জবাবি ভাষণ শেষ হয়। এরপর উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড় বিল পাশের বিষয়টি বিবেচনার জন্য ধ্বনিভোটের মাধ্যমে সম্মতি চান। ধ্বনিভোটে সরকার পক্ষকে জয়ী ঘোষণা করেন তিনি। তবে বিপক্ষ ডিভিশনের (ভোটাভুটি) দাবি জানায়। এরপর ভোটাভুটি শুরু হয় রাজ্যসভায়। এই বিলটি পাশ করাতে বিজেপির প্রয়োজন ছিল ১১৯টি ভোটের। তারা সেই সংখ্যা থেকে বেশ কিছুটা বেশি ভোটই পায়। ৩৩ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাশ হয় সংসদের উচ্চকক্ষে।
রাজ্যসভায় বিলটি নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা বলেন, বিহারের মুসলিম জনসংখ্যার ৭৩ শতাংশ পসমন্দা মুসলিম। তারা প্রথমবারের মতো ওয়াকফ বোর্ডে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই বিল নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছিল, কিন্তু রাজ্যসভায় আলোচনার পর পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়ে যাবে। সঞ্জয় ঝা-এর মতে, এই আইনের বাস্তবায়িত হলে তা সত্যিকার অর্থে দরিদ্র মুসলমানদের জন্য কাজ করবে।