ক'দিন আগেই মার্কিন মুলুকে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইঞ্জিনিয়ার সুচির বালাজির। সেই নিয়ে এবার সুচিরের বাবা-মা দাবি করলেন, সুচির শীঘ্রই ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছিল। সম্প্রতি রিপাবলিক ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তাঁর বাবা-মা দাবি করেন, তাঁদের ছেলে খুবই সাহসী ছিলেন। এবং তাঁরা এই মৃত্যুর ঘটনায় ষড়যন্ত্রের আঁচ পাচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দেন। সুচিরের মা পূর্ণিমা সাক্ষাতকারে বলেন, 'আমাকে ও বলেছিল যে ব্যক্তিগত গবেষণা করছে।' সুচিরের বাবা-মা জানান, এআই ইঞ্জিনিয়াক বড় আকারে জনসাধারণের কাছে সব কিছু ফাঁস করার পরিকল্পনা করছিলেন। এবং তিনি এই নিয়ে নিজের আইনি স্ট্র্যাটেজিও সাজাচ্ছিলেন। (আরও পড়ুন: জানুয়ারিতেই ইয়েমেনে ফাঁসি হতে পারে কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়ার! ভারত সরকার বলল…)
আরও পড়ুন: ২১ দিনের যাত্রায় ৩ ছাগল খাওয়া জিনাত ছুঁচ্ছে না মাংস, এখন কী খাচ্ছে সে?
সুচিরের বাবা-মা জানান, বহুদিন ধরে ছেলের থেকে কোনও ফোন পাচ্ছিলেন না তাঁরা। ছেলেকে ফোন করলে তিনি তা ধরছিলেন না। এই আবহে উদ্বিগ্ন হয়ে শেষ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁরা। এই আবহে তিনি দাবি করেন, ছেলের মৃত্যুর বেশ কিছু তথ্য পুলিশি দাবির সঙ্গে ঠিক মিলছে না। এদিকে সুচিরের মৃত্যুর পরে তাঁর ডিভাইসে নাকি 'অ্যাক্টিভিটি' লক্ষ্য করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সুচিরের বাবা-মা বলেন, 'আমরা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি যে সেই সময় কে সুচিরের কম্পিউটার চালিয়েছিল।' তাঁরা সুচিরের ল্যাপটপ এবং অন্যান্য ডিভাইসের ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে চান। (আরও পড়ুন: তরতরিয়ে বাড়ল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ, ভারতের পকেটে লাগল 'আগুন')
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বর, ১ জানুয়ারি ব্যঙ্ক বন্ধ? নয়া মাসে 'নষ্ট' হবে সরকারি কর্মীদের ২ ছুটি!
পূর্ণিমা বলেন, 'আমার ছেলে খুবই প্রাণবন্ত ছিল। ও কখনও আত্মহত্যা করতেই পারে না। আমাদের কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সাহায্য চাই। তাহলেই আমরা এই ঘটনার মূলে পৌঁছতে পারব। এই ঘটনা কয়েকশো বিলিয়ন ডলারের বিষয় হতে পারে।' তাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করেন যে ওপেনএআই-এর পর্দা ফাঁস করার জন্যে হয়ত সুচিরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এই আবহে তাঁরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন। (আরও পড়ুন: ৯৯ নটআউটে দাঁড়িয়ে শ্রীহরিকোটা, সেঞ্চুরি কবে? আপডেট দিলেন ইসরো প্রধান)
এদিকে ইন্ডিয়া টুডেকে সুচিরের মা পূর্ণিমা বলেন, 'ওর ফ্ল্যাটে বাথরুমে মারামারির চিহ্ন ছিল। সেখানে রক্তের ছিঁটে দেখতে পেয়েছিলাম। এবং যখন আমরা রক্তের ছিঁটের সেই ছবিটি চ্যাটজিপিটি-তে দিই, তখন আমরা দেখতে পেলাম যে মৃত্যুর কারণ যা বলা হচ্ছে, তার সাথে রক্তের ছিঁটের মিল নেই। আমরা বাথরুমে অন্য জায়গায় রক্তের দাগও পেয়েছি। যা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, আমার ছেলেকে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে। কোনও সুইসাইড নোটও তো ছিল না।'