সন্ত্রাসী ঘাঁটি পাকিস্তানের যত গভীরেই থাকুক না কেন, ভারত পাল্টা আঘাত হানতে দ্বিধা করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনার জন্য ব্রাসেলসে সরকারি সফরের সময় পলিটিকোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেখানে 'রাষ্ট্রীয় নীতির হাতিয়ার হিসেবে সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করা যায়'। (আরও পড়ুন: জেলা প্রশাসকদের হাতে বাংলাদেশিদের তাড়ানোর ক্ষমতা, বিধানসভায় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: ভারতীয় ছাত্রকে মাটিতে ফেলে রাখা নিয়ে বিতর্কের মাঝে পালটা গলাবাজি US দূতাবাসের
এদিকে ১০ মে হওয়া যুদ্ধবিরতি সমঝোতা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জয়শঙ্কর বলেন, '১০ তারিখ সকালে আমরা পাকিস্তানের প্রধান আটটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানি এবং তাদের নিষ্ক্রিয় করে দেই। আমার কথায় কান দিতে হবে না। গুগলেই সেই সব ছবি পাওয়া যাচ্ছে। যে রানওয়ে এবং হ্যাঙ্গারগুলিতে আমরা আঘাত করেছি, তা আপনি গুগল থেকে দেখে নিতে পারেন। এরপর পাকিস্তানের ডিজিএমও সংঘর্ষবিরতি দাবি জানান। তখন সামরিক সংঘাত বন্ধ হয়।' (আরও পড়ুন: ন্যাশনাল গার্ডে হয়নি কাজ, এবার লস অ্যাঞ্জেলেসে ৭০০ মেরিন পাঠালেন ট্রাম্প)
আরও পড়ুন: কানাডায় মোদীকে 'নিশানা করার' হুমকি খলিস্তানিদের, অপমান ভারতের পতাকাকে
বিশ্বস্ত সূত্রের মতে, সেনাবাহিনীর উপগ্রহ চিত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চারটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং চিনের তৈরি দুটি বড় সামরিক বিমান (সি-১৩০জে ও এসএএবি ২০০০) গুলি করে ভূপাতিত করেছে। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সারগোধা, রফিকি, জ্যাকোবাবাদ, নুর খান-সহ ১১টি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এসব হামলায় দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনী এই আক্রমণগুলিতে ১৯টি ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় সমসংখ্যক ফরাসি এসসিএএলপি সাবসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। এস-৪০০ আবার একাই শত্রুপক্ষের তিনটি বিমান ভূপাতিত করেছিল। পাকিস্তানি বিমানবাহিনী পাল্টা জবাব দিতে চিনা জেএফ-১৭ বিমান থেকে সিএম-৪০০ একেজি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে তাতে ভারতীয় বিমানঘাঁটির কোনও ক্ষতি হয়নি। (আরও পড়ুন: মাথায় হাত পাকিস্তানের! সাহায্য চাইতে গিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক বিলাওয়াল)
আরও পড়ুন: মিথ্যে বলছেন বিজয় মাল্য, এখনও ৬৯৭৭ কোটি টাকা পাওনা মেটানো বাকি বলে দাবি সরকারের
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৭ মে মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতরে ক্রিস্টাল মেজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল। এরপরই জইশ-ই-মহম্মদের মারকাজ-ই-সুবহান আল্লাহতে স্কাল্প ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এম৭৭৭ হাউইৎজার বন্দুক এবং এক্সক্যালিবার জিপিএস-গাইডেড গোলাবারুদ ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানের দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষা পোস্টগুলি ধ্বংস করে দিয়েছিল এই সংঘাতের সময়। ৭ থেকে ১০ মে'র মধ্যে ভারত ১৩টি বিমানঘাঁটি ও সামরিক ঘাঁটি এবং পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। সেনার হিসেব অনুযায়ী, এই অভিযানে খতম হয়েছে অন্তত ১০০ জন জঙ্গি। ইজরায়েলি এবং পোলিশ ড্রোন, এবং নৌবাহিনীও এই মিশনে সক্রিয় ছিল। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানের শিরায় চোখ ভারতের, AWACS-এ পরিণত করতে কেনা হবে ৬টি বিমান)
আরও পড়ুন: দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিতছে ভারত,অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে পাক: বিশ্বব্যাঙ্ক
আরও পড়ুন: 'জৈবিক পদার্থ' পাচারের চেষ্টা চিনা নাগরিকের! আমেরিকায় ধৃত উহানের PhD পড়ুয়া
ভারতের এই হামলার জবাবে পাকিস্তান 'অপারেশন বুনিয়ান-উল-মারসাস' শুরু করেছিল, তবে মাত্র ৮ ঘন্টার মধ্যেই পাকিস্তান হার মানতে বাধ্য হয়েছিল। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান এই নিয়ে সম্প্রতি বলেছিলেন যে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে মাথা নত করানো, তবে ভারত তাদের ৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিয়েছে। পেশোয়ার থেকে হায়দরাবাদ (সিন্ধু) পর্যন্ত পাকিস্তানি লক্ষ্যবস্তু লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারতীয় ড্রোন। চিনা এইচকিউ-৯ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ পাকিস্তানের এয়র ডিফেন্স সিস্টেম ভারতীয় হামলা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তানি ওয়াইআইএইচএ ড্রোন, ফতেহ-১ রকেট এবং অন্যান্য অস্ত্র হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে অথবা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলিকে ধ্বংস করেছে।