চাঞ্চল্যকর রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে একের পর এক গ্রেফতারি হয় ৯ জুন। এর একদিন পর আজ, অন্যতম মূল অভিযুক্ত রাজ কুশওয়াহার পরিবার দাবি করেছে যে সে নির্দোষ এবং অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় সে বাড়িতেই ছিল। এই নিয়ে রাজের বোন এই নিয়ে বলেন, 'আমার ভাই কোথাও যায়নি। আপনি তার অফিসের লোকদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তিনি তার অফিসে যেতেন...' এদিকে রাজ কুশওয়াহার মা সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে এমন কিছু করতে পারে না। তার বয়স মাত্র ২০ বছর... আমার ছেলে সোনমের ভাইয়ের কারখানায় কাজ করত।' (আরও পড়ুন: এ যেন এক ক্রাইম থ্রিলার! কোন একটি ভুলের কারণে মেঘালয় খুনের ঘটনায় ধরে পড়ে সোনম?)
আরও পড়ুন: মৃত্যুর আগে পর্যন্ত লড়েছিল রাজা রঘুবংশীই, স্বামীকে খাদে ফেলেছিল সোনম নিজেই
এদিকে রাজের বোন বলেছেন, 'আমার একটাই দাবি, আমার ভাইয়ের মুক্তি হোক। সে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।' এদিকে অভিযুক্তের মা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, রাজকে নির্দোষ প্রমাণ করুন।' এদিকে রাজের পরিবার যাই বলুক, রাজা রঘুবংশীর ভাই আগেই অভিযোগ করেছিলেন, সোনম নিয়মিত রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে ফোনে কথা বলত। জানা গিয়েছে, রাজার সঙ্গে বিয়ের আগেই রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের। এই রাজ নাকি রাজার শ্রাদ্ধে এসেছিল। এমনই দাবি করেছেন রাজা রঘুবংশীর মা উমা। রাজার ভাই বিপুল রঘুবংশী জানিয়েছেন, সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা তাঁর কর্মচারী ছিল। (আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় বড় মন্তব্য মমতার, বলতে চেয়েও পারলেন না শুভেন্দু)
আরও পড়ুন: 'বোঝো ঠ্যালা',বিতর্কের মাঝে স্মার্ট মিটার নিয়ে এবার নয়া বিজ্ঞপ্তি বিদ্যুৎ দফতরের
এদিকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে সোনমের বাবা জানিয়েছেন, রাজ নামে একটি ছেলে সোমনের সঙ্গে কাজ করে। তিনি বলেছিলেন যে তাঁর পদবি কুশওয়াহা কিনা তা তিনি জানেন না, তবে তিনি রাজকে চেনেন। তবে সোনম ও রাজের মধ্যে কোনও সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, রাজের সঙ্গে সোনমের কোনও সম্পর্ক ছিল না। তিনি আরও জানান, সোনম ও রাজ দুজনের সম্মতিতে বিয়ে করেছিলেন। তিনি অস্বীকার করেছেন যে রাজাকে বিয়ে করার জন্য সোনমের উপর তার কোনও চাপ ছিল। (আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে ঋণের বোঝা, তাও পাকিস্তানে প্রতিরক্ষা বাজেট বরাদ্দ বাড়তে পারে ১৮%)
আরও পড়ুন: মেঘালয় মধুচন্দ্রিমা কাণ্ডে ধৃত সোনম কি অন্তঃসত্ত্বা? মেডিক্যাল রিপোর্টে রহস্য
এদিকে রাজ কুশওয়াহা গ্রেফতার হওয়ার পরেই সোনম আত্মসমর্পণ করে। রাজার পরিবারের দাবি, সোনম মেঘালয়ে যাওয়ার একমুখী টিকিট কেটে রেখেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল ধৃত সোনম। নিজেকে ভিকটিম হিসাবে পুলিশের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিল সোনম। সে দাবি করেছিল যে তাকে মাদক দিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল। পুলিশ শেষ পর্যন্ত তার কাছে পৌঁছে যাবে জেনে সোমন ৯ জুন তার পরিবারকে জানায় যে সে গাজিপুরে আছে। গাজিপুর-বারাণসী রোডের একটি ধাবায় ছিল সোনম। এরপর সোনমের পরিবার তৎক্ষণাৎ মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয়। তারপর সোনমকে গ্রেফতার করা হয়।