পঞ্জাব অন্য রাজ্যের সঙ্গে একফোঁটা জলও ভাগাভাগি করতে পারবে না। একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাবের কাছে অন্য রাজ্যের সঙ্গে জল ভাগাভাগি করার মতো উদ্ধৃত্ত জল নেই। শুধু তাই নয়, সেচের জন্য আরও জলের প্রয়োজন। বুধবার চণ্ডীগড়ে রাবি-বিয়াস জল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি বিনীত সরণের নেতৃত্বে সদস্য বিচারপতি পি নবীন রাও এবং বিচারপতি সুমন শ্যাম এবং রেজিস্ট্রার রীতা চোপড়ার সঙ্গে বৈঠক করেন মান। সেই বৈঠকে এই অবস্থান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।মান বলেন, পঞ্জাবের কাছে ভাগাভাগি করার মতো কোনও উদ্বৃত্ত জল নেই। এক্ষেত্রে তিনি আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে জলের প্রাপ্যতার পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি ট্রাইব্যুনালের সদস্যদের কাছে পঞ্জাবের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই সদস্যরা ইতিমধ্যেই রবি নদীর জল ব্যবস্থার সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য রাজ্য সফর করছেন।
আরও পড়ুন: ‘কেজরিওয়ালের পঞ্জাবের CM হওয়ার সম্ভাবনা নেই, ফের জল্পনা ওড়ালেন ভগবন্ত মান
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্জাবের ১৫৩টি ব্লকের মধ্যে ১১৭টি (৭৬.৫ শতাংশ) ব্লকে অতিরিক্ত জল শোষণ করা হচ্ছে। সেখানে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন ১০০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, হরিয়ানার মাত্র ১৪৩টির মধ্যে ৮৮টি ব্লক (৬১.৫ শতাংশ) একই ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বেশিরভাগ নদী সম্পদ শুকিয়ে গিয়েছে। তাই সেচের চাহিদা মেটাতে আরও জলের প্রয়োজন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে পঞ্জাবে কেবলমাত্র অল্প পরিমাণে জল রয়েছে, যা তারা খাদ্য উৎপাদনকারী বা চাষবাসের জন্য সরবরাহ করছে। মুখ্যমন্ত্রী পঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যে জল বণ্টনের অসঙ্গতির কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হরিয়ানা রবি ও বিয়াসের জল পেলেও পঞ্জাবকে যমুনার জল দেওয়া হয় না।
ভগবন্ত মান বলেন, যে রাজ্য সরকার খালের জলের ব্যবহার সর্বোত্তম করার অর্থাৎ বাড়ানোর জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তখন রাজ্যে খালের জলের ব্যবহার ছিল মাত্র ২১ শতাংশ। প্রায় তিন বছর পর, তা বেড়ে ৮৪ শতাংশ হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, যে তাঁর সরকারের প্রচেষ্টার ফলে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর এক মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে, দূষণ সম্পর্কের তিনি বলেন, পঞ্জাব জাতীয় খাদ্যের ক্ষেত্রে ১৮০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করে। কিন্তু, কৃষকদের খড় পোড়ানো এবং দূষণের জন্য অন্যায়ভাবে দায়ী করা হয়।