ছত্তিশগড়ের স্কুলে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ! তবে বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনও দুষ্কৃতী জড়িত ছিল না, স্কুলেরই পাঁচ পড়ুয়া পরিকল্পনা করে বিস্ফোরণ ঘটায়। এক শিক্ষিকার উপরে বিরক্ত হয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল পড়ুয়ারা। তদন্তে এমনই জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে শিক্ষিকার কোনও ক্ষতি না হলেও ঘটনায় আহত হয়েছে এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের মাংলা এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পড়ুয়াদের এমন কাণ্ডে হতবাক পুলিশ থেকে শুরু করে স্কুলের সকলেই। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পাঁচ পড়ুয়ার মধ্যে তিনজন হল ছাত্রী। তারা অষ্টম ও নবম শ্রেণির পড়ুয়া। এই ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মেলায় যাওয়াই কাল হল মুসকানের, বিস্ফোরণে ঝলসে গেল, রক্তাক্ত হল শরীর!
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত পড়ুয়ারা অনলাইনে ভিডিয়ো দেখে সোডিয়াম থেকে বিস্ফোরণের বিষয়টি শিখে নেয়। এরপর এক ছাত্রী তার এক আত্মীয়ের আইডি ব্যবহার করে অনলাইনে সোডিয়াম অর্ডার করে। সেই সোডিয়াম শৌচালয়ের সিস্টার্নের কাছে রেখে দেয়। সেটি জলের সংস্পর্শে আসতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে নয় বছর বয়সি ওই ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে আটক করে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের কাউন্সেলিং করা হবে।
বিলাসপুরের পুলিশ সুপার রজনেশ সিং টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, আরও এক ছাত্রীকে এখনও আটক করা যায়নি। শীঘ্রই তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে হাজির করা হবে। সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে দ্রুত ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে, জেলা শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি স্কুলের অধ্যক্ষদের নিয়ে গঠিত একটি দলও ঘটনার তদন্ত করছে।পুলিশ জানতে পেরেছে, ছাত্রীকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। স্কুলের এক শিক্ষিকাকে লক্ষ্য করেই এই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অভিযুক্ত পড়ুয়ারা ওই শিক্ষিকাকে ‘শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ ফেব্রুয়ারি। ৯ বছর বয়সি ছাত্রীটি শৌচালয়ে গিয়ে যখন জল ব্যবহার করে সেই বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দ শুনে সেখানে ছুটে আসেন স্কুলের কর্মীরা। কিন্তু, দরজা বন্ধ থাকায় ভেঙে শৌচালয়ের ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। বিস্ফোরণে মেয়েটির সারা শরীর পুড়ে যায়। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাবা-মা এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁরা দোষীদের শাস্তি না দেওয়া হলে প্রতিবাদ আন্দোলন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ধরনের রাসায়নিক কোনও দোকান বা ল্যাবরেটরিতে সহজে পাওয়া যায় না। সেগুলি বিক্রি এবং ক্রয়ের জন্য কিছু নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হয়। তবে অনলাইনে কেনাকাটায় একটি বড় ফাঁক রয়েছে।