এআই গবেষক ও পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সেই পডকাস্টের বিষয়টি সামনে এসেছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বশান্তি, ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, আরএসএসের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ সম্পর্কিত বিষয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করেছেন।
মোদী বলেন, আমার শক্তি আমার নামের মধ্য়ে নিহিত নেই, ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয়র ব্যাকিং রয়েছে। যখনই আমরা শান্তির কথা বলি গোটা বিশ্ব আমাদের কথা শোনে। কারণ ভারত হল মহাত্মা গান্ধী ও গৌতম বুদ্ধের মাটি।
তিনি বলেন, যখন আমি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে হাত মেলাই তখন সেটা মোদী নন, ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয় সেটা করছেন। আমার শক্তি আমার নামের মধ্যে নেই, এটা ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয় পেছনে রয়েছেন। আর রয়েছে দেশের সংস্কৃতি ও হেরিটেজ।
তিনি মহাত্মা গান্ধীর জন আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বেশ জোরের সঙ্গে বলেন, সমাজের ঐক্যবদ্ধ শক্তি সেটা হল সীমাহীন। তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী বিংশ শতাব্দীর মহান নেতা নন, তিনি একবিংশ শতাব্দীর মহান নেতা। আগামী শতাব্দীরও তিনি বৃহত্তম নেতা হিসাবে থাকবেন।
তাঁর জীবনে আরএসএসের ভূমিকা কতটা?
মোদীর দাবি আরএসএসের সংস্পর্শে আসতে পারাটা তাঁর সৌভাগ্য। তিনি গোটা বিশ্বজুড়ে আরএসএসের ভূমিকার প্রশংসা করেন। গোটা দেশ জুড়ে আরএসএস কীভাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরিষেবা দিচ্ছে তা তুলে ধরেন তিনি। বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আরএসএসের শ্রমিক সংগঠনের সংঘাতের কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন বলে, দুনিয়ার মজদুর এক হও। আর আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন বলেন, শ্রমিকরা গোটা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করো। এটাই প্রমাণ করে আরএসএস কীভাবে মূল্যবোধকে এগিয়ে নিয়ে চলে।
বিবেকানন্দর প্রভাব কতটা জীবনে?
মোদী বলেন, ছোটবেলার খুব গ্রামের লাইব্রেরিতে যেতাম। তখন স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে পড়লাম। এরপর তাঁর জীবনী আমার জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলল। বিবেকানন্দর জীবন থেকেই তিনি শিখেছেন, আসল পূর্ণতা ব্যক্তিগত প্রাপ্তি থেকে আসে না। আসে আত্মত্যাগের মাধ্য়মে। সেই প্রসঙ্গে রামকৃষ্ণদেব আর স্বামী বিবেকানন্দর প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। একবার রামকৃষ্ণদেবের কাছে গিয়ে বিবেকানন্দ বলেছিলেন আমার মা খুব অসুস্থ। আমার সাহায্য দরকার। সেই সময় পরমহংসদেব বলেছিলেন মা কালীর কাছে গিয়ে বলো। এরপরই বিবেকানন্দ অনুভব করেন যিনি জগৎকে সব কিছু দিয়েছেন তাঁর কাছে গিয়ে তিনি আর কী চাইবেন।