গঙ্গাসাগর মেলাকে স্বীকৃতি দিক কেন্দ্রীয় সরকার। এই দাবি বারবার তুলে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সে স্বীকৃতি আসেনি। কুম্ভমেলায় কোটি কোটি টাকা খরচ করা হলেও গঙ্গাসাগরের ক্ষেত্রে এক টাকাও মেলে না কেন্দ্রীয় সাহায্য বলে অভিযোগ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। এবার সংসদে গঙ্গাসাগর মেলাকে হেরিটেজ ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকার করবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়। আর তাতেই ফাঁস হয়ে গেল আসল সত্য। এতদিন একটা টালবাহানা চলছিল। এবার প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত লিখিতভাবে জানিয়ে দিলেন, আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার নিয়মানুযায়ী গঙ্গাসাগরকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না।
এদিকে গঙ্গাসাগর মেলাকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হবে না বলে মোদী সরকারের মন্ত্রী জানিয়ে দিতেই তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কুম্ভমেলা নিয়ে যে বহুল প্রচার, কেন্দ্রীয় উদ্যোগ, সরকারি অর্থ খরচ করা হয়ে থাকে তার সামান্যটুকুও গঙ্গাসাগর মেলার জন্য করেনি নরেন্দ্র মোদীর সরকার। অথচ কুম্ভমেলা হয় সময়ের ব্যবধানে। গঙ্গাসাগর মেলা হয় প্রত্যেক বছর। বছরের পর বছর কপিল মুনির আশ্রম ঘিরে গঙ্গার সুমদ্র সঙ্গমের তটে আয়োজন হয়ে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। যেখানে দেশ–বিদেশ থেকে আসেন পুণ্যার্থীরা এসে থাকেন। তাই গঙ্গাসাগর মেলাকে হেরিটেজ তকমা দিক কেন্দ্র এই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন: বক্সায় প্রথমবার দেখা গেল ‘হিমালয়ান গ্রে ল্যাঙ্গুর’, পর্যটকদের কৌতুহল তুঙ্গে, খুশি বন দফতর
অন্যদিকে এই দাবি যে মানা হবে না সেটা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্ন ছিল, কোনও এলাকাকে হেরিটেজ ঘোষণা করার ক্ষেত্রে নিয়ম কী? গঙ্গাসাগর মেলার এলাকাকে কি হেরিটেজ ঘোষণা করার কোনও পরিকল্পনা আছে কেন্দ্রের? বিশদে তা জানানো হোক। না থাকলে তার কারণও জানিয়ে দেওয়া হোক। জবাবে কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত জানান, প্রাচীন সৌধ, পুরাতাত্ত্বিক এলাকাকে হেরিটেজ ঘোষণা করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইন রয়েছে আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার। স্থাপত্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের নিরিখে সেটা বিবেচিত হয়। গঙ্গাসাগর মেলা কখনই সেই সূচকে পড়ে না।