বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Pakistan spooked by India: ৯ মিসাইল তাক করা শুনেই মোদীকে ফোন করার আকুতি ইমরানের, ভয়ে ছেড়ে দেন অভিনন্দনকে
পরবর্তী খবর
Pakistan spooked by India: ৯ মিসাইল তাক করা শুনেই মোদীকে ফোন করার আকুতি ইমরানের, ভয়ে ছেড়ে দেন অভিনন্দনকে
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 08 Jan 2024, 04:59 PM ISTAyan Das
ভারতীয় বায়ুসেনার তৎকালীন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের হেফাজতে। তাঁকে ছাড়িয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ করছে ভারত। আর সেইসময় ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপে কেঁপে গিয়েছিল পাকিস্তান। আতঙ্কে ঘুম ছুটে যাচ্ছিল ইমরান খানদের। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে কাকুতি-মিনতি করছিলেন তিনি।
অভিনন্দন বর্তমানকে ছাড়া নিয়ে নরেন্দ্র মোদীদের চালে কেঁপে গিয়েছিলেন ইমরান খানরা। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি ও এপি)
পাকিস্তানের দিকে নাকি ন'টি ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে রেখেছে ভারত, যে কোনও সময় 'লঞ্চ' করে দিতে পারে - কোথা থেকে সেই উড়ো খবর পেয়ে মধ্যরাতে পুরোপুরি কেঁপে গিয়েছিল পাকিস্তান সরকারের শীর্ষ মহল। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে মধ্যরাতেই তড়িঘড়ি পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়ার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইসলামাবাদের শীর্ষ আধিকারিক। একবার যাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কথা বলিয়ে দেন, সেজন্য কাকুতি-মিনতি করতে থাকে ইসলামাবাদ। কিন্তু মোদীর সঙ্গে কথা হয়নি ইমরানের।
আর সেই পুরো ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে। সেই ঘটনার খুঁটিনাটি নিজের বই 'অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট: দ্য ট্রাবলড ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনশিপ বিট্যুইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান' তুলে ধরেছেন বিসারিয়া। যেদিন সকালে আকাশপথে ভারত এবং পাকিস্তানের ‘ডগফাইট’ হয়েছিল (পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের রেশ ধরে)। পরবর্তীতে ভারতীয় বায়ুসেনার তৎকালীন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল পাকিস্তান। তাঁকে যাতে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়, সেজন্য কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছিল নয়াদিল্লি।
বিসারিয়া জানিয়েছেন, সেদিন মধ্যরাতে ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন হাইকমিশনার সোহেল মেহমুদের ফোন পেয়েছিলেন। যিনি সেইসময় ঘটনাচক্রে ইসলামাবাদেই ছিলেন। সোহেল জানিয়েছিলেন যে মোদীর সঙ্গে কথা বলতে চান ইমরান। ইসলামাবাদের সেই আর্জি পেয়ে তিনি দিল্লিতে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছিলেন বলে জানান বিসারিয়া। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, নয়াদিল্লিতে যোগাযোগের পরে সোহেলকে তিনি জানিয়ে দেন যে এই মধ্যরাতে মোদীর সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না। তারপর আর সোহেলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে জানান বিসারিয়া।
পরদিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সংসদে ইমরান ঘোষণা করেছিলেন যে অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে 'শান্তির স্বার্থে' মোদীকে ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানালেও সেই বিষয়টি নিয়ে কথা বাড়াননি। তিনি শুধু দাবি করেছিলেন যে শান্তির বার্তা দিতেই অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও পশ্চিমী কূটনীতিবিদদের একাংশের মতে, ওটা স্রেফ মুখের কথা ছিল। আদতে ভারত যেভাবে অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, তাতে রীতিমতো কাঁপুনি ধরে গিয়েছিল পাকিস্তানের শীর্ষ মহলের অন্দরে। সঙ্গে মিসাইল-আতঙ্ক তো ছিলই।
কীভাবে মিসাইল নিয়ে উড়ো খবর এসেছিল?
যেদিন অভিনন্দনকে হেফাজতে নিয়েছিল পাকিস্তান, সেদিন আলোচনার জন্য আমেরিকা, ফ্রান্সের মতো দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশ সচিব তেহমিনা জানজুয়া। বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বৈঠক থামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানি সেনার থেকে একটি বার্তা শোনাতে শুরু করেছিলেন। ওই বার্তায় দাবি করা হয়েছিল যে পাকিস্তানের দিকে ন'টি মিসাইল তাক করে রেখেছে ভারত। যে কোনও সেগুলি ‘লঞ্চ’ করে দেওয়া হতে থাকে। যা পাকিস্তান সরকারের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল। মোদীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন ইমরান।
যদিও ভারত কোনওদিন বলেনি যে ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের দিকে ন'টি মিসাইল তাক করে রাখা হয়েছিল। ভারত বরাবর জানিয়ে এসেছে যে কূটনৈতিকভাবে পদক্ষেপ করা হয়েছিল। মোদী শুধুমাত্র ২০১৯ সালের একটি নির্বাচনী জনসভায় বলেছিলেন যে পাকিস্তানের ভাগ্য ভালো যে ওরা তৎকালীন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দনকে ছেড়ে দিয়েছিল। তাঁকে না ছাড়া হলে ‘কাতিল কি রাত’ হত।