এবার নতুন দল আসছে বাংলাদেশে। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন এই দল। সেখানে আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য় সংগঠক ও মুখপাত্র এই চারটি পদই থাকছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, দলের আহ্বায়ক হিসাবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরের পদগুলোর জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একেবারে সামনের সারির কয়েকজনের নাম আলোচনায় উঠে আসছে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি নতুন দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হতে পারে। ঢাকায় অনুষ্ঠান করে দলের ঘোষণা হতে পারে। রাজধানীর মানিক মিঁয়া অ্যাভিনিউতে এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হতে পারে।
নতুন দলের ক্য়াপ্টেনের দায়িত্বে আসছেন নাহিদ। সেক্ষেত্রে তিনি সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন বলেও খবর। এবার অন্য তিনটি পদ নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। সদস্যসচিব পদে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অধিকাংশ নেতারই পছন্দের নাম হল আখতার হোসেন। মুখ্য় সংগঠক হিসাবে যে নামটি আলোচনায় উঠে আসছে তিনি হলেন সারসিজ আলম। মুখপাত্র হিসাবে যে নাম উঠে আসছে তিনি হলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
এদিকে বাংলাদেশে এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশের আগে থেকেই নানা জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছে। এই দল আগামী দিনে কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবে, দলের অন্দরে কাদের হাতে ক্ষমতার রাশ থাকবে তা নিয়ে নানা ধরনের চর্চা চলছে। এমনকী ইতিমধ্য়ে মূলত তিনটি পদকে ঘিরে নানা ধরনের মতবিরোধ শুরু হয়েছে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় এনিয়ে চর্চা একেবারে তুঙ্গে।
তবে প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে কারা এই নতুন দলে থাকবেন তা নিয়ে তিনটি বিষয় অত্যন্ত সুস্পষ্ট।
১) গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রাক্তন নেতা।
২) ইসলামী ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা
৩) বাম প্রভাবিত বিভিন্ন সংগঠনের প্রাক্তন নেতা ও মধ্য়পন্থী নেতারা।
এদিকে সূত্রের খবর, মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার মদতে বাংলাদেশে একটা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা চলছে বলে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি কয়েক মাস আগেই দাবি করেছিলেন। তবে কারা এনিয়ে মদত দিচ্ছে সেটা অবশ্য সুস্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে দলের মাথায় কারা থাকতে পারেন তা নিয়ে নানা ইঙ্গিত মিলছে এবার।