পহেলগাঁওয়ের ঘটনাকে 'ইনসানিয়ত ও কাশ্মীরিয়ত'-এর উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পহেলগাঁও হামলার পরে আজ এই প্রথমবার কাশ্মীরে পা রাখেন মোদী। আজ সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতে দাঙ্গা ছড়াতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। কাটরার অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, পাকিস্তান পহেলগাঁওয়ে মানবতা ও কাশ্মীরের চেতনার ওপর হামলা চালিয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা উস্কে দেওয়া এবং কাশ্মীরের কঠোর পরিশ্রমী মানুষের জীবন-জীবিকাকে ব্যাহত করা। সেই কারণেই পর্যটকদের টার্গেট করেছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসী হামলা এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরবর্তী উত্তেজনার কথা উল্লেখ করেন মোদী। এই সময় জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ যেভাবে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে তার প্রশংসা করেন মোদী। (আরও পড়ুন: এক এক করে পড়ছে বাংলাদেশি উইকেট, ইউনুসের দেশকে 'বুড়ো আঙুল' শাহের পুলিশের)
আরও পড়ুন: এক শিফটেই হবে পরীক্ষা, নিট পিজি-২০২৫ কবে? NBE-কে আজ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
তিনি বলেন, 'এবার মানুষ যে শক্তি দেখিয়েছে তা শুধু পাকিস্তানকে নয়, গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের যুবসমাজ এখন সন্ত্রাসবাদের কড়া জবাব দিতে বদ্ধপরিকর। এটা সেই সন্ত্রাস যা উপত্যকার স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে, হাসপাতাল ধ্বংস করেছে এবং প্রজন্মকে ধ্বংস করেছে।' উল্লেখ্য, এর আগে পহেলগাঁও হামলার পরে কাশ্মীরে পর্যটক কমে গিয়েছিল। মে করা হচ্ছিল, উপত্যকার পর্যটন অর্থনীতিকে ধাক্কা দিতেই পহেলগাঁও হামলার ছক কষা হয়েছিল। যাতে ফের একবার কাশ্মীর পুরনো আধাঁরের দিনগুলিতে ফিরে যায়। তবে বন্দে ভারত, চেনাব সেতুর মতো এই রেল প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করে ফের একবার কাশ্মীরে পর্যটনের জোয়ার আনতে চাইছেন মোদী। (আরও পড়ুন: মুখে পরমাণু যুদ্ধের কথা বলা পাকিস্তানের ৪৫% দরিদ্র, ১৬% অতিদরিদ্র: বিশ্বব্যাঙ্ক)
আরও পড়ুন: কাশ্মীর পেল ২ জোড়া বন্দে ভারত, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু দিয়ে যেতে কত খরচ?
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন। সন্ত্রাসবাদীরা শুধুমাত্র পুরুষদেরই টার্গেট করেছিল। এদের মধ্যে অনেকেই স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। সন্ত্রাসী হামলার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, ৭ মে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালায়। গত ৭ মে ভোরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে বোমা হামলা চালিয়ে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। ভোরের এই হামলায় কমপক্ষে ১০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়। এরপর ভারতের পশ্চিম সীমান্ত জুড়ে একাধিক হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। ৯-১০ মে রাতে এমনই এক পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তানের ১৩টি বিমান ঘাঁটি ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় বিমানবাহিনী। চারদিন লড়াইয়ের পর ১০ মে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছালে সামরিক সংঘাত বন্ধ হয়ে যায়।