শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ডঃ মহম্মদ ইউনুস। বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে তাঁর নামটাই প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে তিনি সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন।
এনিয়ে বিবিসি কথা বলেছে ডঃ ইউনুসের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, যে শিক্ষার্থীরা এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাঁরা যখন এই কঠিন সময়ে আমাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন তাহলে আমি কীভাবে তা প্রত্যাখান করি?
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আপাতত প্যারিসে আছেন মহম্মদ ইউনুস। তিনি শীঘ্রই ঢাকা ফিরতে পারেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ভোররাতে অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম রূপকার নাহিদ ইসলাম। সেই বার্তায় নাহিদ জানিয়েছেন, সর্বজনগ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করা হচ্ছে। ইউনুসের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্র জনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এই গুরুদায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন।
সেই সঙ্গেই নাহিদ জানিয়েছিলেন, তাঁরা সকালের মধ্য়েই এই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চান। রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান থাকবে , দ্রুত সময়ের মধ্যে ডঃমহম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক।
এদিকে ২০২৩ সালে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সেই সময় ইউনুসকে গরীবের শত্রু বলে মনে করত তৎকালীন বাংলাদেশের সরকারের শীর্ষকর্তারা। এরপর নোবেলজয়ী প্রফেসর মহম্মদ ইউনুসের উপর হেনস্থা বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্বের তাবড় ব্যক্তিত্বরা। তার মধ্যে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রাক্তন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট হিলারি ক্লিন্টন, ভারজিন গ্রুপ ফাউন্ডার রিচার্ড ব্র্যানসন, ইউ২ লিড সিঙ্গার বোনো প্রমুখ রয়েছেন। সেই চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেছেন নোবেল পুরষ্কার বিজয়ীর উপর বিচারবিভাগের নাম করে হেনস্থা বন্ধ করা হোক।
এদিকে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্কে বিরাট সফলতার জন্য নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস। তবে গত কয়েক বছর ধরেই মহম্মদ ইউনুসকে গরিবের শত্রু বলে মনে করতে শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবিসির রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছিলেন, মহম্মদ ইউনুস এবার আন্তর্জাতিক সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন।