বিদেশে চাকরির লোভনীয় টোপ। অনেকেই সেই প্রলোভনের সামনে মাথা ঠিক রাখতে পারেন না। তবে এবার ফের এনিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক। ভারতীয় নাগরিকদের এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। মূলত যেটা বলা হচ্ছে যে বিদেশি নিয়োগ কর্তারা কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেটা যাচাই করে দেখুন। এদিকে মায়ানমারের কল সেন্টার প্রতারণাচক্র থেকে সব মিলিয়ে ২৬৬জন পুরুষ ও ১৭জন ভারতীয় মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে ভারতীয় দূতাবাস মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। বিদেশমন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারত সরকার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেমন মায়ানমারে ভুয়ো কাজের অফারের জেরে যে ভারতীয়রা সমস্য়া পড়েছেন তাদের উদ্ধার ও ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তাঁদের বিভিন্ন স্ক্যাম সেন্টারে সাইবার অপরাধ ও অন্যান্য প্রতারণামূলক কাজে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। মায়ানমার ও থাইল্যান্ড বর্ডারে বিষয়টি জানা গিয়েছে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে।
সেই সঙ্গেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার বিভিন্ন উপদেষ্টা ও সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্য়মে সতর্ক করেছিল। এই ধরনের চক্র সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। ফের ভারতীয় নাগরিকদের বলা হচ্ছে, বিদেশে থাকা ভারতীয় মিশনের মাধ্যমে সেই বিদেশি নিয়োগকর্তাদের সম্পর্কে যাচাই করে নিন। নিয়োগের ক্ষেত্রে যে এজেন্ট রয়েছেন ও কোম্পানি রয়েছে চাকরির অফার নেওয়ার আগে তাদের সম্পর্কে যাচাই করে নিন।
যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত আনা হচ্ছে তাদের মধ্য়ে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, পাঞ্জাব, ইউপি ও বাংলার বাসিন্দারা রয়েছেন।
সূত্রের খবর সম্প্রতি মায়ানমারে এই ধরনের অবৈধ চক্রের পর্দাফাঁস করা হয়েছিল। মূলত সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের চক্র গড়ে উঠেছিল বলে খবর।
সেই সমস্ত স্ক্যাম চক্র থেকে অন্তত ৭০০০ কর্মীকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্য়ে অধিকাংশই চিন থেকে এসেছিলেন। থাই-মায়ানমার সীমান্তে অস্থায়ী শিবিরে অনেকেই থাকছিলেন।
সূত্রের খবর, একাধিক ক্ষেত্রে সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল। বিভিন্ন ভুয়ো নিয়োগ এজেন্সির মাধ্যমে তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। মূলত যাদের আইটি সম্পর্কে দক্ষতা রয়েছে তাদেরকে এখানে কাজ দেওয়া হয়েছিল। কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমারে এই ধরনের চক্র কাজ করে বলে অভিযোগ। এই ধরনের চাকরির অফার দেওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট জায়গায় কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর একটা নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় কড়া পাহারায় তাদের রাখা হয়। এরপর তাদের নানা ধরনের প্রতারণামূলক কাজ করতে বাধ্য় হয়।