মেঘালয়ে হানিমুনে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনে অভিযুক্ত খোদ নববিবাহিত স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। শুধু সোনম নয় এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ৪ জনকে। ইতিমধ্যে রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরগরম গোটা দেশ। ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। এই আবহে রাজা রঘুবংশী খুনে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে প্রকাশ্যে চড় মারলেন ইন্দোরের এক ব্যক্তি।আর সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (আরও পড়ুন: চেনাব-ঝিলামে 'উন্নয়নের জোয়ার', ভারতের ছকে চোখ-গলা সব শুকিয়ে যাবে পাকিস্তানের)
আরও পড়ুন-হানিমুন হত্যাকাণ্ডের পুননির্মাণ! সোনমকে নিয়ে আসা হল মেঘালয়ে
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে বিমানে শিলং আনা হয় রাজা রঘুবংশী খুনে অভিযুক্তদের। অভিযুক্তদের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে ইন্দোরের বিমানবন্দরে প্রবেশের পর চড়ে মারলেন এক বিমান যাত্রী।আর ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই চড় মারার ভিডিও।মঙ্গলবার রাজ কুশাওয়াহা, আনন্দ কুড়মি, আকাশ রাজপুত ও বিশাল সিং চৌহানকে নিয়ে মেঘালয় পুলিশের একটি দল ইন্দোর এয়ারপোর্টে ঢোকার সময় ওই ঘটনা ঘটে। চড় মারা নিয়ে সেই ব্যক্তি বললেন, 'বড় অপরাধ করেছে ওরা। ঘটনাটা আমায় খুব আঘাত করেছে। খুব রাগ হচ্ছিল ওদের ওপর। দোষীদের ফাঁসি হওয়া উচিত।' শিলংয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন হওয়া ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীকাণ্ডে তদন্ত এগিয়ে চলেছে। স্ত্রী সোনম রঘুবংশীর পরকীয়ার সম্পর্কই নির্মম পরিণতি ডেকে এনেছে রাজার জীবনে তা ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে। বিয়ের আগে থেকেই রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের। রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে রাজ অন্যতম অভিযুক্ত। (আরও পড়ুন: বিতর্কে জর্জরিত ইউনুসের লন্ডন সফর, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কোনও দাম নেই সেখা)
আরও পড়ুন: সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা বেজিংয়ের, ভারতে আসছে চিনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী
এদিকে, মেঘালয় পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত বিশাল চৌহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। ইন্দোরের এসিপি পুনমচন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, চৌহানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, রঘুবংশীর হত্যার সময় তিনি যে প্যান্ট এবং শার্ট পরেছিলেন তা তার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।তিনি জানিয়েছেন, 'মেঘালয় পুলিশ ওই পোশাকগুলিতে রক্তের দাগ আছে কিনা তা জানতে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাবে।'
আরও পড়ুন-হানিমুন হত্যাকাণ্ডের পুননির্মাণ! সোনমকে নিয়ে আসা হল মেঘালয়ে
মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগে ১৭ দিন পর উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার হয়েছে সোনম। ১১ মে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। ১৯ মে মধুচন্দ্রিমার জন্য মেঘালয়ে রওনা দেন নবদম্পতি। সেখানে পৌঁছোনোর দু’দিন পর, অর্থাৎ ২৩ মে দু’জনেই নিখোঁজ হয়ে যান। তারপর থেকে রাজা-সোনমের খোঁজ চালাচ্ছিল শিলং পুলিশ। গত ২ জুন সোহরায় (চেরপুঞ্জি) দেহ মেলে রাজার। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এই সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি তত্ত্ব উঠে আসে। কিন্তু শেষমেশ এই ঘটনায় সোনমের ‘প্রেমিক’ রাজ গ্রেফতার হতেই রাজাকে খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তারপর উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের একটি ধাবা থেকে সোমবার গ্রেফতার করা হয় সোনমকে।