একটি ধর্মীয় বই পোড়ানোর গুজবের জেরে নাগপুরে হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে ফড়ণবীস এই হিংসাকে 'পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র' বলে অভিহিত করেন।
ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের জন্য 'ছাবা' সিনেমাকে দায়ী করলেন ফড়ণবীস
মহারাষ্ট্রে ঔরঙ্গজেব বিতর্ক এবং নাগপুরে সোমবারের হিংসার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস দাবি করলেন, ভিকি কৌশলের ছাবা সিনেমার কারণেই ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে মানুষের মনে। সাম্প্রতিক সময়ে সম্ভাজিনগর থেকে ১৭ শতকের মুঘল সম্রাটের সমাধি সরানোর দাবি উঠেছে। উল্লেখ্য, আগে এই শহরের নাম ছিল ঔরঙ্গাবাদ। পরে একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সেই জায়গার নাম বদল করেছিলেন। (আরও পড়ুন: 'ঔরঙ্গজেবকে সমর্থন করলে সহ্য করা হবে না...', নাগপুর হিংসা নিয়ে সুর চড়ালেন একনাথ)
এদিকে নাগপুরের হিংসা নিয়ে আজ বিধানসভায় ফড়ণবীস বলেন, 'এই হিংসাত্মক ঘটনা ও দাঙ্গা পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করেছিল উন্মত্ত জনতা। পুরোটাই ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে। ছাভা সিনেমা ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও সকলে মিলে মহারাষ্ট্রকে শান্ত রাখতে হবে। আমি পুলিশ কমিশনারকে বলেছি যে যতটা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা যেন নেওয়া হয়।' উল্লেখ্য, আপাতত নাগপুরে কার্ফু জারি করা হয়েছে।
জানা যায়, ঔরঙ্গজেবের কবর অপসারণের দাবিতে একটি ডানপন্থী সংগঠন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল নাগপুরে। সেই সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মহারাষ্ট্রের নাগপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। পরে হিংসা থামাতে গিয়ে ২৫ জন পুলিশকর্মী জখম হন। সঙ্গে জখম হন ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরাও। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্য নাগপুরের চিটনিস পার্ক ও মহল এলাকায় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিকেলে কোতোয়ালি ও গণেশপেঠে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।