অফিস টাইমে ট্রেনে ওঠার নাম শুনলেই অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মূলত ভিড়ের আতঙ্ক চেপে বসে তাঁদের মনে। বাস্তবিকই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিভিন্ন লাইনে অফিস টাইমে ও অফিস থেকে ফেরার পথে যে ট্রেনগুলি রয়েছে সেখানে একেবারে গিজগিজে ভিড় থাকে। অনেকেরই প্রত্যাশা থাকে অন্তত অফিস যাওয়ার সময় একটু বসে যেতে পারলে সুবিধা হয়। সেই সঙ্গেই অফিস ফেরত যাত্রীরাও চান লোকাল ট্রেনে একটু বসার জায়গা। কিন্তু সেটা অনেকের কপালেই জোটে না।
তবে ইতিমধ্যেই ট্রেনের গিজগিজে ভিড় এড়াতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে রেলমন্ত্রক। মূলত ট্রেনের বগিগুলির সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ৯ বগির ট্রেন অতীত। এখন শিয়ালদা ও হাওড়া শাখার সমস্ত লোকাল ট্রেন ১২ বগির। তবে তারপরেও যে ভিড় কমে গিয়েছে এমনটা নয়। তবে এবার লোকাল ট্রেনের বগির সংখ্য়া আরও বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী রেলমন্ত্রক।
সম্প্রতি হরিয়ানার মানেসরে বড় ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানে তিনি ১৬ বগির লোকাল ট্রেনের কথা উল্লেখ করেছেন। এমনকী কেবলমাত্র ১৬ বগির লোকাল ট্রেন নয়, ২০ বগির লোকাল ট্রেন চালানোর কথাও ভাবছে রেলমন্ত্রক। এর জেরে সার্বিকভাবে নিত্যযাত্রীদের বড় উপকার হতে পারে।
তবে কেবলমাত্র বাংলার লোকাল ট্রেনেই নয়, মুম্বইতেও লোকাল ট্রেনে একেবারে বাদুরঝোলা ভিড় হয়। তবে লোকাল ট্রেনের কামরার সংখ্যা বৃদ্ধি হলে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় কিছুটা কম হতে পারে। কারণ বিপুল সংখ্য়ক যাত্রী তাঁরা অতিরিক্ত কামরাতে ছড়িয়ে যেতে পারবেন। এতে সাধারণভাবে লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় কিছুটা কম হতে পারে।
মানেসরে গতিশক্তি কার্গো টার্মিনালের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, ১৬ ও ২০ কোচের সব মিলিয়ে ১০০টি মেইন লাইন ইএমইউ মেমু ট্রেন উৎপাদনের কথা জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, মুম্বই, কলকাতা, দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই লোকাল ট্রেনের কামরা বৃদ্ধির বিষয়টি কার্যকর হবে। এর জেরে বড় সুবিধা হবে নিত্যযাত্রীদের।
তবে কতদিনে এই উদ্যোগ সম্পূর্ণ রূপ পাবে তা নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, সম্প্রতি মুম্বইতে লোকাল ট্রেনে ভিড়ের জেরে দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তারপরে রেলমন্ত্রীর এই ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এই ধরনের ট্রেন চালাতে গেলে পরিকাঠামোগত কিছু বদলও প্রয়োজন।