বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Kavach and Coromandel Express Accident অভিশপ্ত রুটে ছিল না ‘কবজ’ প্রযুক্তি, কীভাবে ঠেকাতে পারত করমণ্ডলের দুর্ঘটনা?
পরবর্তী খবর
Kavach and Coromandel Express Accident অভিশপ্ত রুটে ছিল না ‘কবজ’ প্রযুক্তি, কীভাবে ঠেকাতে পারত করমণ্ডলের দুর্ঘটনা?
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 03 Jun 2023, 01:41 PM ISTAyan Das
‘কবচ' প্রযুক্তি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা বিভিন্ন বিপজ্জনক পরিস্থিতির বিষয়ে লোকো পাইলটকে আগেভাগেই সতর্ক করে দেবে। যদি সিগন্যালের তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যায় ট্রেন, নির্ধারিত সীমার বেশি গতিতে ট্রেন দৌড়ায় বা ঘন কুয়াশার মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ট্রেন দৌড়ানো নিয়ে লোকো পাইলটকে সহায়তা করে থাকে।
‘কবচ’ প্রযুক্তি কি তাহলে ব্যর্থ হল? ‘কবচ’ প্রযুক্তি কি কাজ করল না? ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর নানা মহলে সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছিল। তবে ভারতীয় রেলে তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই অভিশপ্ত রুটে ‘কবচ’ প্রযুক্তি ছিল না। যে প্রযুক্তি থাকলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। ওই মহলের মতে, বিপর্যয়ের আগেই সম্ভবত থেমে যেত আপ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বালাসোরে যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতে প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রচুর মানুষ। ভারতীয় রেলের তরফে সরকারিভাবে না জানানো হলেও নাম গোপন রাখার শর্তে রেলকর্তারা জানিয়েছেন, বাহানগা বাজার স্টেশন পেরিয়ে মেন লাইনের জায়গায় লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তারপরই ধাক্কা মারে একটি মালগাড়িকে। লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি। সেই বগিতে ধাক্কা লেগে আবার উলটো দিক থেকে আসা ডাউন ১২৮৬৪ SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর যে উদ্ধারকাজ শুরু হয়, তা আজ দুপুরে শেষ হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় রেলের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেছেন যে 'উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ শুরু করছি। তবে ওই রুটে কবচ প্রযুক্তি ছিল না।' যে ‘কবচ' প্রযুক্তি থাকলে এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। বেঘোরে প্রাণ যেত না এত মানুষের।
২০২২ সালের ২৩ মার্চ সেই ‘কবচ' প্রযুক্তির ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল। ভারতের ট্রেন পরিষেবার সুরক্ষা বাড়াতে দেশীয় প্রযুক্তির ‘অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন’ (এটিপি) সিস্টেম তৈরি করা হয়। রিসার্চ ডিজাইনস অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশনের (আরডিএসও) তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হয় সেই নয়া প্রযুক্তি। যা ভারতীয় রেলের ‘জাতীয় অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন’ হিসেবে গৃহীত হয়।
‘কবচ' প্রযুক্তি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা বিভিন্ন বিপজ্জনক পরিস্থিতির বিষয়ে লোকো পাইলটকে আগেভাগেই সতর্ক করে দেবে। যদি সিগন্যালের তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যায় ট্রেন, নির্ধারিত সীমার বেশি গতিতে ট্রেন দৌড়ায় বা ঘন কুয়াশার মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ট্রেন দৌড়ানো নিয়ে লোকো পাইলটকে সহায়তা করে থাকে। ওরকম বিপজ্জনক ক্ষেত্রে লোকো পাইলটকে সতর্কবার্তা পাঠায় 'কবচ' প্রযুক্তি। একই লাইনে দুটি নির্ধারিত দূরত্বের মধ্যে দুটি ট্রেন চলে আসে, তাহলে ব্রেক কষে দিতে পারে এবং ট্রেনকে পুরো থামিয়ে দিতে পারে।