ডানপন্থী নেত্রী হিসেবে পরিচিত জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন জোট ইতালির নির্বাচনে জিততে চলেছে। এই আবহে সরকার গঠনের দাবি জানালেন ৪৫ বছর বয়সি জর্জিয়া। এর আগে বুথ ফেরত এবং জনমস সমীক্ষাতেও এগিয়ে ছিলেন জর্জিয়া। জর্জিয়ার ‘ব্রাদারস অফ ইতালি’ পার্টি এই নির্বাচনে জয়ী হতে চলায় প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে দেশটি। পাশাপাশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কট্টর ডানপন্থী কোনও দল সরকার গঠন করবে ইতালিতে।
ইতালির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সিলভিয়ো বারলুসকোনির ‘ফোরজা ইতালিয়া’ এবং মাতেও সালভিনির দলের সঙ্গে মিলে ৪৩ শতাংশ ভোট পেতে চলেছেন জর্জিয়া। এর ফলে সেনেটে ১১৪টি আসন জিততে চলেছে জর্জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোট। ইতালিয়ান সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১০৪টি আসন। এর আগে গতকাল, রবিবার ইতালিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল পার্লামেন্ট নির্বাচন। এরপর থেকেই বুথফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে যেতে থাকেন জর্জিয়া।
উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগেই ইউরোপের আরও এক দেশ, সুইডেনে কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক দল নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করে। আর এবার ইতালিতে কট্টর ডানপন্থী জোট ক্ষমতায় আসতে চলেছে। এদিকে জর্জিয়া নিজে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষপাতী নন। এই আবহে ইতালির পালা বদলে ইউরোপীয় ইউনিয়ান আরও এখ সদস্য হারায় কি না, সেদিকে নজর অনেকেরই। প্রসঙ্গত, ইতালি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা দেশ। এদিকে ইউরো অঞ্চলে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ইতালি। তবে কোভিডের জেরে আপাতত দেশজ উৎপাদনের (ডোমেস্টিক জিডিপি) ১৫০ শতাংশ সমমূল্যের ঋণের বোঝা রয়েছে ইতালির মাথার উপর।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে রাশিয়ার বিরোধী মনোভাব পোষণ করেন জর্জিয়া মেলোনি। যদিও তাঁর জোটসঙ্গী ইতালির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সিলভিয়ো বারলুসকোনির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভঅলাদিমির পুতিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই আবহে ইউরোপের রাজনৈতিক গতিপথ কোনদিকে এগোয়, তার দিকে নজর রেখে চলেছে গোটা বিশ্ব।