অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে লোহার রড নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ ইতিমধ্যেই হামলাকারী ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, হামলাকারী ওই ব্যক্তি হঠাৎই মন্দিরের কমিউনিটি কিচেন - গুরু রাম দাস লঙ্গরে ঢুকে হামলা চালাতে শুরু করে। সেই সময় সেখানে অসংখ্য ভক্ত এবং স্থানীয় বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সকলেই ঘটনার আকস্মিকতা ও ভয়াবহতায় হতচকিত এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তথ্য বলছে, এই ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে 'শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি' (এসজিপিসি)-এর দু'জন সেবাদার বা স্বেচ্ছাসেবকও রয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে অমৃতসরের শ্রী গুরু রাম দাস ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল অ্য়ান্ড রিসার্চ- এ ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, হামলাকারীর সঙ্গে আরও একজন ছিল। ঘটনার প্রাথমিক আকস্মিকতা কেটে যেতেই মন্দিরের ভিতরে থাকা লোকজনই তাদের ঘিরে ধরে। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই হামলা চালানোর আগে রীতিমতো ওই এলাকার রেইকি করে গিয়েছিল ওই দুই ব্যক্তি। পুলিশের এক আধিকারিক সাংবাদিকদের বলেন, 'এই ঘটনায় মূল হামলাকারীর সঙ্গে যে দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিল, সেও প্রথমজনের সঙ্গেই রেইকির কাজ করেছিল।'
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও পুলিশের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হামলাকারী প্রথমে লঙ্গর থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর আবার ফিরে আসে। সেই সময় তার হাতে একটি লোহার রড ছিল। সেই রড দিয়েই সে প্রথমে দুই স্বেচ্ছাসেবককে মারতে শুরু করে। যে দর্শনার্থীরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন, তাঁদেরও একইভাবে নির্মম আঘাত করে ওই ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেও অমৃতসরের এই স্বর্ণ মন্দিরেই হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন শিরোমণি অকালি দলের প্রাক্তন নেতা তথা পঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদল। সেই সময় অকাল তখতের বিচার অনুসারে নিজের কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করছিলেন তিনি। মন্দিরে প্রবেশের মুখে দ্বাররক্ষীর দায়িত্ব পালন করছিলেন সুখবীর। সেই সময়েই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান এক প্রবীণ ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। যদিও পুলিশ তৎপর থাকায় কোনও অঘটন ঘটেনি।