৬ বছরের নীচে কয়েকজন বাচ্চার অভিভাবক তাদের সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৩১ জুন ২০২০-র সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী তার স্কুলে ভর্তি করাতে পারেননি। এরপর তাঁর ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন।
গুজরাট হাইকোর্ট
তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রি-স্কুলে ভর্তি করা সম্পূর্ণ 'অবৈধ কাজ'। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য বয়স ৬ বছর বেঁধে দিয়ে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট হাইকোর্টে কয়েকজন অভিভাবক মামলা করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত এই রায় জানিয়েছে। মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
৬ বছরের নীচে কয়েকজন বাচ্চার অভিভাবক তাদের সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৩১ জুন ২০২০-র সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী তার স্কুলে ভর্তি করাতে পারেননি। এরপর তাঁর ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন। প্রধান বিচারপতি সুনিতা আগরওয়াল এবং বিচারপতি এন ভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, যতই শিশু ৩ বছর বয়স থেকে প্রি-স্কুলে পড়াশুনা করুক না কেন এই যুক্তি তাঁদের প্রভাবিত করে না।
শুনানিতে আবেদনকারীরা যুক্তি দেন, রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১ এ এবং শিক্ষার অধিকার আইনে প্রায় নয় লক্ষ শিশুর শিক্ষার অধিকারকে কেড়ে নেবে। তাঁরা আদালতের কাছে অনুরোধ করেন, তিন বছর প্রি-স্কুলে পড়া শিশুদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য।
আদালত স্পষ্ট করে দেয়, শিক্ষার অধিকার আইন তখনই শুরু হয় যখন একটি শিশু ছবছর বয়েসে পড়ে। আদালত এও উল্লেখ করে বলে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ স্বীকার করে ছবছরের কম বয়সী শিশুদের শৈশবকালীন যত্ন এবং শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ তখন একটি শিশুর মস্তিস্কের ৮৫ শতাংশ বিকাশ হয়।