সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার জন্য সাইবার আক্রমণকে দায়ী করলেন সংস্থার সিইও তথা ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্ক। একইসঙ্গে মার্কিন এই ধনকুবের দাবি করেছেন, ইউক্রেন থেকে সাইবার আক্রমণটি চালানো হয়। এই কথা বলে আদতে তিনি ইউক্রেনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পে নেই ভরসা, মন্দার শঙ্কায় মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস, প্রভাব পড়বে ভারতেও?)
আরও পড়ুন: মস্কোয় ব্যাপক হামলা ইউক্রেনের, ৩৩৭টি ড্রোন ধ্বংস করল রাশিয়া; নিহত ১, জখম ৩
আরও পড়ুন -AI Sector Job Creation: ২০২৭-র মধ্যে ভারতে ২৩ লাখ চাকরি তৈরি করবে AI, দাবি রিপোর্টে
সোমবার গোটা বিশ্বেই একাধিক বার এক্স-এর পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে। অসুবিধার মুখে পড়েন ব্যবহারকারীরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ-এর সাক্ষাৎকারে এই বিভ্রাটের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মাস্ককে। জবাবে তিনি বলেন, 'ঠিক কী হয়েছিল, আমরা জানি না। কিন্তু এটা একটা বড় সাইবার হানার ঘটনা, যা এক্স-এর গোটা ব্যবস্থাকে থামিয়ে দিয়েছিল। ইউক্রেন এলাকার আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে ঘটনাটি ঘটানো হয়।' (আরও পড়ুন: ট্রাম্প আসার পর বিশ্বের শীর্ষ ৫ বিলিয়নিয়ারের সম্পদ কমেছে কত? শুনলে ঘুরবে মাথা)
আরও পড়ুন: হাসিনার 'স্বপ্ন' ভুলে কি ভারতের সঙ্গে 'মানিয়ে গুছিয়ে' নেওয়ার বার্তা ইউনুসের?
অন্যদিকে, প্যালেস্টাইনপন্থী একটি হ্যাকার গোষ্ঠী ডার্ক স্টর্ম সাইবার হানার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলাকে সমর্থন জানিয়ে আগেও নানা দেশে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে ওই গোষ্ঠীটি। এক্স বিপর্যয়ের পরেই মুখ খুলেছিলেন মাস্ক। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, আগেও সাইবার হানার সম্মুখীন হয়েছে এক্স। কিন্তু এবারের আক্রমণ আরও সংগঠিত ভাবে করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বড় গোষ্ঠী এবং দেশ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটিতে অবশ্য বিশ্বব্যাপী বিভ্রাটের কিছুক্ষণ পরেই পরিষেবাগুলি আবার শুরু হয়েছিল। (আরও পড়ুন: চরম অপমান পাকিস্তানকে, রাষ্ট্রদূতকে ভিসা দিয়েও ঢুকতে দেওয়া হল না মার্কিন মুলুকে)
আরও পড়ুন: সময়টা ভালো যাচ্ছে না ইলন মাস্কের, একদিনে টেসলার শেয়ার দর পড়ল ১৫ শতাংশ
ইলন মাস্কের এই মন্তব্যকে ভূ-রাজনৈতিক অঙ্কে মাপছেন অনেকে। কারণ ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরোধী হিসাবেই পরিচিত। তাছাড়া এখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের প্রধানও বটে, যে দফতর ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে তুমুল বাগ্যুদ্ধ হয়েছিল ট্রাম্পের। তারপর থেকে এখনও কিয়েভ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের শৈত্য কাটেনি। এই আবহে মাস্কের ওই উক্তি দুই দেশের সম্পর্ককে কোন খাতে বওয়ায়, সে দিকে নজর সকলের।