মুখ্যমন্ত্রী সুখুর বাসভবনে দলের স্থানীয় নেতৃত্ব, বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শিবকুমার ছাড়াও সেখানে ছিলেন ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সুখুকে আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হচ্ছে না।
কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এল হিমাচল প্রদেশে। রাজ্যসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হতেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে থাকে হিমাচল প্রদেশে। তবে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস জানিয়ে দিল, সমস্যা ও সংকট কেটে গিয়ে পরিস্থিতি এখন ঠাণ্ডা। সুখবিন্দর সিং সুখুই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। সফলভাবে হিমাচলের সংকট নিরসনে কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার সিমলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। দফায় দফায় বৈঠকের পর ঠিক হয়েছে আপাতত মুখ্যমন্ত্রী বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। মতানৈক্য থাকলে সকলে মিলে সেটা মিটিয়ে নেওয়া হবে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শিবকুমার জানান, সরকার পাঁচ বছর এখানে সম্পূর্ণ করবে।
এদিকে হিমাচল প্রদেশের সরকারের সংকট কাটাতে ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ ডিকে শিবকুমারকে হিমাচল প্রদেশে পাঠিয়েছিল কংগ্রেস। সেখানে পড়ে থেকে দলের বিধায়কদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করার পর তিনি দাবি করলেন, ‘সরকার নিরাপদ’। তবে কিছু ক্ষেত্রে যে মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ হয়েছেন, সেটাও মেনে নিয়েছেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী। আজই ক্রস ভোট দেওয়া ৬ কংগ্রেস সদস্যের সদস্যপদ খারিজ করা হয়। তাঁরা এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখু রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভির পরাজয়ের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন।
অন্যদিকে আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ডিকে শিবকুমার জানান, তাঁরা দলের সব বিধায়কদের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেছেন। আরও আলোচনা আগামীদিনে হবে। দলের অন্দরে বিধায়কদের ক্ষোভ ছিল। আর সরকারের কোনও কোনও জায়গায় ব্যর্থতা ছিল, সেটা মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। তারপরই শিবকুমারের আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা, ‘আমাদের সরকার সুরক্ষিত। আর পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করবে।’