Covid-19 Pandemic coming to end: এখনও ইতি পড়েনি, তবে অবশেষে করোনা মহামারীর শেষবিন্দু দেখা যাচ্ছে: WHO

করোনাভাইরাস মহামারীতে ইতি টানার ক্ষেত্রে এর থেকে ভালো সময় আর আসেনি। এমনই মন্তব্য করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান টেডরোস ঘেবরেসাস। তাঁর দাবি, এখনও পর্যন্ত শেষবিন্দুতে পৌঁছানো যায়নি। তবে শেষবিন্দু দেখা যাচ্ছে।বুধবার বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান দাবি করেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে করোনাভাইরাস চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে লাখ-লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে গত সপ্তাহে সেই সংখ্য়াটা এমন স্তরে নেমে গিয়েছে, যা ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে সর্বনিম্ন। ঘেবরেসাস বলেন, 'মহামরারী ইতি টানার ক্ষেত্রে এর থেকে আর কখনও ভালো জায়গায় ছিলাম। আমরা এখনও শেষবিন্দুতে পৌঁছায়নি। কিন্তু শেষবিন্দুটা দেখা গিয়েছে।' আরও পড়ুন: Parliamentary Panel Report on Covid 2nd Wave: ‘অনুমানই করতে পারেনি সরকার...আরও অনেক জীবন বাঁচানো যেত’,দাবি সংসদীয় কমিটিরহুয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ। ৪ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ শতাংশ কমেছিল। সেই পরিস্থিতিতে করোনা মহামারী শেষ করার যে সুযোগ এসেছে, সেই সুযোগের সদ্ব্যবহারের জন্যও বিশ্ববাসীকে আর্জি জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি বলেন, 'আমরা যদি এখন সেই সুযোগ না নিই, আমাদের সামনে আরও ভ্যারিয়েন্ট, আরও মৃত্যু, আরও বিপদ এবং আরও বেশি অনিশ্চয়তার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।'বিশ্বের করোনা চিত্রজেমস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১০,০৯২,৪৮২। মৃত্যু হয়েছে ৬,৫১৯,০৩২ জনের। যদিও প্রকৃতপক্ষে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মোট মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে একাধিক মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে। চলতি বছর মে'তে হুয়ের প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী, মহামারীর সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যেভাবে মৃত্যু বেড়েছে, তা থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে ২০২০ সাল এবং ২০২১ সালে বিশ্বে করোনায় ১৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ প্রচুর তথ্য গোপন করা হয়েছে বলে একাধিক মহলের অভিযোগ।আরও পড়ুন: Covid-19 Death: এখনও প্রতি ৪৪ সেকেন্ডে এক জনের মৃত্যু হচ্ছে কোভিডে, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাভারতের করোনা চিত্রভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৪৫,০৭,৪৭১। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩,১৬৩। মৃত্যু হয়েছে মোট ৫,২৮,২১৬ জনের। হাসপাতাল থেকে মোট ৪,৩৯,৩৬,০৯২ জন ছাড়া পেয়েছেন।