মহাকুম্ভ শেষ হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ গিয়েছিলেন পূণ্যস্নানে। আর এই মহাকুম্ভতেই পদপিষ্ঠ হয়ে প্রাণ গিয়েছিল অনেকের। একেবারে মর্মান্তিক ঘটনা। এদিকে সর্বভারতীয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করা হয়েছে, কুম্ভে কতজন পদপিষ্ঠ হয়ে মারা গিয়েছিলেন সেটা প্রকাশ করা হচ্ছে না। তারা( বিজেপি সরকার) সংখ্য়া লুকোচ্ছে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। এদিকে মৃতের পরিবার এখনও ২৫ লাখ ক্ষতিপূরণের জন্য প্রার্থনা করছে। এরপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি খবরকে তুলে ধরা হয়েছে।
সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে মহাকুম্ভে পদপিষ্ঠ হওয়ার ঘটনার প্রায় দুমাস অতিক্রান্ত হতে যাচ্ছে। অন্তত ৩০জন মারা গিয়েছিলেন সেই ঘটনায়, এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার যে ২৫ লাখ ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছিল সেটা এখনও পায়নি মৃতের পরিবারের একাংশ।
এদিকে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কতজন সেই সময় মারা গিয়েছিলেন পদপিষ্ঠ হয়ে, তার সরকারি কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। কুম্ভের ডেপুটি আইজিপি বৈভব কৃষ্ণ আগেই বলেছিলেন, মৃতদের তালিকা শীঘ্রই প্রকাশ্যে আনা হবে। এদিকে সেখানকার রাজ্য সরকার জানিয়েছিল ৩০জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃতের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একাধিক পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিল। তাদের দাবি ২৯শে জানুয়ারি মহাকুম্ভে যে পদপিষ্ঠ হওয়ার ঘটনা হয়েছিল তাতে তাদের পরিবারের সদস্য মারা গিয়েছিলেন। কয়েকজন বলেছিলেন তারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কয়েকজন জানিয়েছেন তারা ৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। কয়েকজন বলেছিলেন, তাঁরা ৫ লাখ পেয়েছেন কিন্তু বাকিটা কিস্তিতে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উত্তরপ্রদেশ সরকার মৃতদের নিকট আত্মীয়কে ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল।
ওই প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, জৌনপুরের বাসিন্দা বিনয় রাজভর জানিয়েছিলেন তিনি ঠাকুমা রামপতি ও কাকিমা রীতা দেবীকে কুম্ভে পদপিষ্ঠ হওয়ার জেরে হারিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ডেথ সার্টিফিকেট বা ক্ষতিপূরণ পাননি।
তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, প্রয়াগরাজ কর্তৃপক্ষ ফোন করেছিল। ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে বলেছে। কিন্তু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চায়নি।
বালিয়ার দীনেশ পটেল তাঁর স্ত্রী ও কন্য়াকে হারিয়েছেন পদপিষ্ঠ হওয়ার ঘটনায়। দীনেশ জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছে। কিন্তু ক্ষতিপূরণের কোনও কথা তুলছে না।
এমনই একাধিকজনের সঙ্গে কথা বলেছে ওই সংবাদমাধ্যম। যারা জানিয়েছেন তাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন পদপিষ্ঠের ঘটনায়। কিন্তু ক্ষতিপূরণ মেলেনি।