আরসিবি আর কোহলির চরম ভক্ত ছিলেন। তাই বিজয়োৎসবের কথা শুনে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি। কাজের ফাঁকেই বসের কাছ থেকে কয়েক ঘণ্টার ছুটি চেয়ে নেন। কথা ছিল, অফিসে ফিরে ফের কাজে বসবেন। তাই ল্যাপটপ খোলা রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু কে জানত, সেই ল্যাপটপ খোলাই থেকে যাবে। কে জানত, হাসতে হাসতে ছুটে বিরাটকে দেখতে ছুটে গেল যে, তারই নিথর দেহ ফিরে আসবে কিছুক্ষণ পর!
আরও পড়ুন - করোনা আবহে হবু মায়েরা সুস্থ থাকবেন কীভাবে? কী কী নিয়ম মানবেন? রইল ৬ টিপস
কয়েক ঘণ্টার ছুটি নিয়ে
তামিলনাডুর বাসিন্দা কামাক্ষী দেবী। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা তিনি। কিন্তু আরসিবি আর কোহলি বলতেই একেবারে পাগল কামাক্ষী। তাই কাজের দিনও তিনি বহু বলেকয়ে কয়েক ঘণ্টার ছুটির ব্যবস্থা করেন। বস ছুটি দিতেই ছুটে যান চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। কিন্তু সেখানেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রবল ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ১১ জন। তাদের মধ্যেই একজন ছিলেন কামাক্ষী।
ভিড়ের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু
বুধবার কামাক্ষী তুতো ভাই বীরবাহু এবং আরও তিন সহকর্মীকে নিয়ে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটে নাগাদ পৌঁছোন। বীরবাহুর কথায়, স্টেডিয়ামের ৭ নম্বর গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন তিনজনেই। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিশাল ভিড়ের জমায়েত হয় সেখানে। ধাক্কাধাক্কিতে একে অপরের থেকে ছিটকে আলাদা হয়ে যান। তার কিছুক্ষণ পরই শোনেন কামাক্ষী আর নেই। ভিড়ের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওর।
আরও পড়ুন - বাবা-মা হওয়ার পথে বড় বাধা হার্টের এই পরিচিত রোগ! অল্প বয়সীরাও ফাঁদে, কী সেটি?
বেশ হাসিখুশি ছিলেন কামাক্ষী
প্রসঙ্গত, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বুধবারের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এর মধ্যে ৪ জন ছিলেন অপ্রাপ্তবয়স্ক, এছাড়াও ৫ জন ছিলেন মহিলা। তাদেরই অন্যতম ছিলেন কামাক্ষী দেবী। কামাক্ষীর সহকর্মীদের কথায়, বেশ হাসিখুশি ছিলেন তিনি। সেই সহকর্মীই যে ফেলে রেখে যাওয়া কাজ আর সারতে আসবেন না, তা ভাবতে পারছে না গোটা অফিস। বেঙ্গালুরুর ঘটনায় সুয়ো মোটো মামলা দায়ের করেছে বেঙ্গালুরু আদালত। সাসপেন্ড করা হয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনারকে।