আজ (বুধবার - ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) বাংলাদেশের ছাত্র ও তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন একটি রাজনৈতিক সংগঠনের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটল। কিন্তু, সেই প্রক্রিয়া সারার সময় নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ও নেতৃত্বের নাম ঘোষণা ঘিরে যেভাবে দফায় দফায় দু'টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধল, তাতে একথা বলতে বাধা নেই যে ভূমিষ্ঠ হওয়ার ক্ষণ থেকেই বিতর্কে জড়াল বাংলাদেশের এই নয়া রাজনৈতিক দল।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, মূলত ছাত্রদের নিয়ে গঠিত এই রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে - 'গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ'। যার নেপথ্য কারিগররা মূলত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির নেতৃবৃন্দ। এই নয়া রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব পদে রাখা হয়েছে যথাক্রমে - আবু বাকের মজুমদার এবং জাহিদ আহসানকে।
এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ (স্থানীয় সময় অনুসারে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় এবং সেখানেই নতুন দলের নাম ঘোষণা ও নেতৃত্বের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয়।
কিন্তু, তার মধ্যেই শুরু হয় স্লোগান, পালটা স্লোগান। প্রকাশ্যেই ওঠে বঞ্চনার অভিযোগ, শুরু হয় বিক্ষোভ ও অবস্থান এবং ক্রমে এই দ্বন্দ্ব হাতাহাতি, ও তা থেকে সংঘর্ষে পরিণত হয়। এবং এই সংঘর্ষ চলে দফায় দফায়!
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন থেকেই জানা যাচ্ছে, নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করার জন্য একদিকে যেমন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সেখানে পৌঁছন, অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়া সেখানে পালটা জমায়েত করেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, নতুন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাঁদের পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই, তাঁদেরও অধিক সংখ্য়ায় ওই কমিটিতে জায়গা বা পদ দিতে হবে।
এর ফলে বিকেল ৩টে থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিকেল ৪টে নাগাদ প্রথম দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। তার মধ্যেই নতুন দল ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রনেতাদের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
এরপর নতুন দলের নেতৃত্ব ও তাদের সমর্থকরা মল চত্বরের দিকে মিছিল করে এগিয়ে যান। সেখানে ফের একবার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, শেষ পাওয়া খবর অনুসারে - আহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এখানেই শেষ নয়। এত কিছু হওয়ার পরও, সন্ধে নাগাদ ফের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষ হয়।