অনুপ্রবেশের একটিও ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। একজনও জঙ্গিকে নিষ্কৃতী দেওয়া যাবে না। বুধবার এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন দেশের সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থার উদ্দেশে তিনি নির্দেশ দেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করতে হবে।
জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার নয়াদিল্লিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন অমিত শাহ। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্য়ান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, আইবি-র ডিজি তপন ডেকা, মুখ্যসচিব অটল ডুল্লু এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি নলীন প্রভাত।
মঙ্গলবারও জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন অমিত শাহ। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।
বৈঠকে অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হল, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ সমূলে এবং চিরতরে উৎখাত করা। তিনি জানান, মোদী সরকারের লাগাতার চেষ্টার ফলেই বর্তমানে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ আগের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থার উদ্দেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাদের লক্ষ্য হল - 'শূন্য অনুপ্রবেশ'। আর তার জন্য সমস্ত সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শাহের আরও নির্দেশ, অনুপ্রবেশ বা নির্মম নাশকতার ঘটনা ঘটলে, বা এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে কেউ যুক্ত হলে কঠোর থেকে কঠোরতম পদক্ষেপ করতে হবে। তিনি উপত্যকা থেকে সন্ত্রাসবাদ সমূলে উপড়ে ফেলার কথা বলেন।
শাহ জানান, মাদকপাচার চক্রগুলি অনুপ্রবেশ এবং সন্ত্রাসবাদে সরাসরি মদত দিচ্ছে। তা এই বিষয়ে আরও অনেক বেশি সতর্ক ও কঠোর হতে হবে। মাদক ব্যবসা থেকে সন্ত্রাসবাদীরা যাতে কোনও রকমের আর্থিক সাহায্য় না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
নতুন ফৌজদারি আইন যাতে যথা সময়ে কার্যকর ও প্রয়োগ করা যায়, তা নিশ্চিত করতে ফরেন্সির সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-এর পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগের নির্দেও দেন অমিত শাহ।
এদিনের বৈঠকে মোদী সরকারের সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে 'জিরো টলারেন্স' নীতি এবং 'সন্ত্রাসমুক্ত জম্মু ও কাশ্মীর' গঠনের নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। কাশ্মীর উপত্যকা থেকে জঙ্গিদের একেবারে নিকেশ করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সদা তৎপর ও সচেতন থাকতে বলেন তিনি।
পাশাপাশি, বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা ও নিরাপত্তাবাহিনী যেভাবে কাশ্মীরকে সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখতে দিনরাত এক করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে, এবং অত্যন্ত্র পাহারা দিয়ে চলেছে, সেই লাগাতার প্রয়াসকেও কুর্নিশ জানান তিনি।