মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়ার্ক বিমানবন্দরে এক ভারতীয় ছাত্রকে হাতকড়া পরিয়ে মেঝেতে ফেলে রাখার একটি অস্বস্তিকর ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছিল। এই নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেল জানিয়েছে যে তারা এই বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছেন। আর এবার ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এই বিতর্কের মাঝেই ভিসা নিয়ে সতর্কবাণী শোনাল। বিতর্কের মাঝে মার্কি দূতাবাস একটি বার্তায় লেখে, 'আমাদের দেশ বৈধ ভ্রমণকারীদের স্বাগত জানাবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সফর কারও কোনও 'অধিকার' নয়। আমরা অবৈধ অনুপ্রবেশ, ভিসার অপব্যবহার বা মার্কিন আইন লঙ্ঘন সহ্য করতে পারি না এবং করব না।' (আরও পড়ুন: রাজার শ্রাদ্ধে এসেছিল রাজ, মেঘালয়কাণ্ডে ধৃত সোনমের এই প্রেমিক কে?)
আরও পড়ুন: দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিতছে ভারত,অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে পাক: বিশ্বব্যাঙ্ক
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের শিরায় চোখ ভারতের, AWACS-এ পরিণত করতে কেনা হবে ৬টি বিমান
এর আগে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টেদাবি করা হয়েছিল, ভারতীয় ছাত্রকে সম্ভবত দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য নেওয়ার্ক বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার আগে তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে 'পিন' করে মাটিতে শোয়ানো হয়েছিল। ভিডিয়োটি ভারতীয়-আমেরিকান উদ্যোক্তা কুণাল জৈন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে যুবকটি কাঁদছিল এবং কর্তৃপক্ষ তাঁর সাথে ‘অপরাধী’র মতো আচরণ করছিল। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে, নিউইয়র্কের ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেল লিখেছিলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট পেয়েছি যেখানে দাবি করা হয়েছে যে একজন ভারতীয় নাগরিক নেওয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আমরা এই বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি।’ (আরও পড়ুন: জেলা প্রশাসকদের হাতে বাংলাদেশিদের তাড়ানোর ক্ষমতা, বিধানসভায় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ নিয়ে ভাইরাল গুরুত্বপূর্ণ 'খবর', সরকারি কর্মীদের জন্য রইল আপডেট
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে ঋণের বোঝা, তাও পাকিস্তানে প্রতিরক্ষা বাজেট বরাদ্দ বাড়তে পারে ১৮%
এর আগে গত ৯ জুন ভারতীয় সময় ভোর ৪টে ৪৩ মিনিটে শেয়ার করা পোস্টে কুণাল জৈন লিখেছিলেন, 'এই অসহায় ছেলেটির বাবা, মা জানতে পারবেন না যে তার সাথে কী ঘটছে। ভারতীয় দূতাবাস এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে আমি জানাতে চাই, গত রাতে আমার সাথে একই ফ্লাইটে তাঁকে ওঠানোর কথা ছিল। কিন্তু এই ছাত্রটি বিমানে উঠতে পারেননি। নিউজার্সি কর্তৃপক্ষ তাঁর সাথে কী ঘটিয়েছে তা সকলের জানা দরকার। আমি তাঁকে দিশেহারা অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলাম।' কুণালের কথায়, সে স্বপ্নের পিছনে ছুটতে ছুটতে এখানে এসেছিল, কারও কোনও ক্ষতি সে করেনি। একজন এনআরআই হিসেবে, আমি অসহায় এবং আমি ভেঙে পড়েছিলাম। এটি একটি মানবিক ট্র্যাজেডি।' কুণালের সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছিল ভারতীয় দূতাবাস। আর এবার এর পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়ে সাফাই দেওয়ার ভঙ্গিতে সুর চড়াল মার্কিন দূতাবাস।