ভয়াবহ ঘটনা ওড়িশায়। এক ব্যক্তি নানা ধরনের তুকতাক করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওড়িশায় ৫০ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে কালো জাদু অনুশীলন ও পারদর্শী বলে অভিযুক্ত করে গ্রামবাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাজ্যের নুয়াপাড়া জেলার একটি হাসপাতালে ভর্তি ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে পোর্তিপাড়া গ্রামে, যেখানে একটি সালিশি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং নিহত খাম সিং মাঝিও উপস্থিত ছিলেন।
তুকতাকে অভিযুক্তকে দড়ি দিয়ে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল
গ্রামের সভা চলাকালীন অভিযুক্তকে দড়ি দিয়ে বেঁধে শাস্তি হিসেবে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় তিনি সাহায্যের খোঁজে বাড়ি বাড়ি ছুটে যান, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।
গুরুতর দগ্ধ ওই ব্যক্তি অবশেষে একটি পুকুরে ঝাঁপ দিলে তার পরিবার তাকে উদ্ধার করে সিনাপ্পলি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ব্ল্যাক ম্যাজিকের অভিযোগ অস্বীকার করল পরিবার
নির্যাতিতার ছেলে হেমলালের অভিযোগ, গ্রামবাসীরা তাঁর বাবাকে কালো জাদু করার জন্য হুমকি দিয়েছিল এবং যখন তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন, তখন তারা তাঁকে মারধর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
ওই ব্যক্তির পুত্র বলেন, গ্রামবাসীরা একটি সভা ডেকেছিল এবং আমার বাবাকে কালো জাদু করার জন্য মারাত্মক পরিণতির হুমকি দিয়েছিল। সে অভিযোগ অস্বীকার করায় তারা প্রথমে তাকে মারধর করে এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেয়,' অভিযোগ মাঝির ছেলে হেমলালের।
সিনাপল্লি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এই জঘন্য অপরাধের জন্য দায়ী অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে।
খারিয়ারের এসডিপিও অরূপ বেহেরা জানিয়েছেন, পুলিশ আসার পর বেশিরভাগ গ্রামবাসীই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ গ্রামে পৌঁছানোর পর বেশিরভাগ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পরেই হামলার কারণ খুঁজে বের করব।
পুলিশ ইতিমধ্য়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে। ওই ব্যক্তি আদৌ তুকতাক করত কি না সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।