ইন্দোনেশিয়ার কালেম্পাং গ্রামে ঘটে গিয়েছে এক চঞ্চল্যকর ঘটনা। সেখানে ৪৫ বছরর এক মহিলা ছিলেন নিখোঁজ। বহু খোঁজের পর শেষে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে এক আস্ত পাইথনের পেট থেকে। ইন্দোনেশিয়াল দক্ষিণ সুলাওয়েসি এলাকার কালেম্পাং গ্রামে এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে গিয়েছে।
১৬ ফুটের সাপ গিলে ফেলেছে এক প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাকে। পাইথনটির পেট থেকে উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজ হওয়া ফরিদা নামের এই মহিলার মৃতদেহ। হাড়হিম করা এই কাণ্ডে এলাকায় চাঞ্চল্য। সন্দেহ ফরিদাকে জীবন্ত গিলে ফেলে ওই সাপ। কুণ্ডলীকৃত অবস্থায় থাকা পাইথনের পেট থেকে এই মানব দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গ্রামের প্রধান সুয়ারদি রোসি দাবি করছেন, ওই ১৬ ফুটের দীর্ঘ সাপ জীবন্ত গিলে ফেলেছে ৪৫ বছর বয়সী ফরিদাকে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ফরিদাকে। চর সন্তানের মা ফরিদার খোঁজ শুরু হয় গ্রাম জুড়ে। এরপর ফরিদার জিনিসপত্র একটি খোলা জায়গায় দেখে সন্দেহ হয় তাঁর স্বামীর। তখনই জোরকদমে তল্লাশি অভিযান শুরু হয় গ্রাম জুড়ে। তারপরই দেখা যায়, পেট ফোলা অবস্থায় একটি পাইথনকে। গ্রামের মানুষের সন্দেহ আরও বাড়ে।
এরপর পেট ফুলে থাকা অবস্থায় ওই পাইথনকে পেতেই তা পাকড়াও হয়। এরপরের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে এক গ্রামবাসী বলছেন, ‘পাইথনের পেট কেটে ফেলার বিষয়ে সকলে সহমত পোষণ করেন। তাঁরা যখনই পেট কাটতে শুরু করেন, তখনই ভিতর থেকে ফরিদার মাথার দিকটি দেখা যেতে থাকে।’ ‘দ্য টাইমস অউ ইন্ডিয়া’র খবর বলছে, পাইথনের পেটের ভিতর সম্পূর্ণ পোশাক পরিচ্ছদ পরা ফরিদার দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ধরনের বীভৎস ঘটনা সাম্প্রতিককালে খুবই বিরল। তবে ইন্দোনেশিয়ায় বহু মানুষই তাঁদের প্রাণ হারিয়েছেন,পাইথনের দ্বারা এমন জীবন্ত গিলে ফেলার কারণে। এই সুলাওয়েস্কি এবাকারই দক্ষিণ পূর্বের এক এলাকায় গত ২০২২ সালে একটি ৮ মিটারের পাইথনকে দেখা যায়, এক কৃষককে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে তাঁকে গিলে ফেলছে। ২০১৮ সালেও সেদেশে ওক ৫৪ বছর বয়সী মহিলার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে যায়। তিনিও বেশ কিছুদিন নিখোঁজ ছিলেন। পরে তাঁকে পাওয়া যায়।