সালটা ছিল ১৯৭৭। মুম্বইয়ের এলফিনস্টোন কলেজে পৌঁছেছিলেন ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানি। একটি কুইজ প্রতিযোগিতা ছিল। সেখানেই প্রথম চোখ যায় এক তরুণীর দিকে। এটা ছিল 'লাভ এট ফার্স্ট সাইট'। জীবনে প্রেমের নতুন গল্পের জাল বুনেছিল দিনটা।
কীভাবে শুরু নন্দন নিলেকানির প্রেম কাহিনী
নিখিল কামাথের সঙ্গে একটি পডকাস্টে, তিনি বলেন, 'আমি তখন আইআইটি প্রতিনিধিত্ব করছিলাম, এবং সেখানেই আমি তাঁকে প্রথম দেখতে পাই।' সেদিন আইআইটিই কুইজ জিতেছিল। এ কথা বলতে গিয়ে নিলেকানির বলেছেন, 'অবশ্যই, এদিন আমরা কুইজ জিতেছি... এভাবেই একটা দিনে আমি ১৯৭৭ সালে তাঁর সঙ্গে প্রথম দেখা করেছিলাম।'
আরও পড়ুন: (Laxmi Puja Wishes: মা লক্ষ্মীর কৃপায় ঘুচে যাক অনটন, কোজগরী পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানান পরিজনদের)
মানুষ হিসাবে নিজেকে মূলত বোরিং বলেই মনে করেন নন্দন নিলেকানি। তাঁর দাবি, তাঁর তুলনায় তাঁর স্ত্রী রোহিণী কিন্তু অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত এবং আবেগপ্রবণ। আসলে এদিন নিলেকানিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তাঁর স্ত্রী আরও স্পষ্টভাষী কিনা, তারই উত্তরে তিনি বলেন, 'অধিক স্বতঃস্ফূর্ত, আরও আবেগপ্রবণ ধরনের মানুষ।' সেই তুলনায় নিলেকানি একেবারেই তাঁর স্ত্রীয়ের বিপরীত ব্যক্তিত্ব।
নন্দন নিলেকানি আরও উল্লেখ করেছেন যে তার স্ত্রী, একজন প্রাক্তন সাংবাদিক। এখন পরিবেশ সচেতনা বৃদ্ধির জন্য সমাজসেবী হিসাবে কাজ করছেন। পরিবেশকেই সাহায্য করা তার চ্যারিটি। পরিবেশই তাঁর প্রধান ফোকাস। সম্ভবত এই মুহূর্তে ভারতে সবচেয়ে বড় বা এমনকি একমাত্র পরিবেশবাদী সমাজসেবী তাঁর স্ত্রী রোহিণীই। এমনটাই দাবি করেছেন নিলেকানি।
আরও পড়ুন: (Lakshmi Puja 2024: ৭ দিন ধরে চলে লক্ষ্মীপুজো, ১১ ফুট লম্বা প্রতিমার পুজোয় চলে আরতি প্রতিযোগিতাও)
রোহিণী ও নন্দন নীলেকানির দুই সন্তান নীহার ও জাহ্নবী। ২০২৩ সালে, রোহিণীই ছিলেন একমাত্র মহিলা, যিনি হুরুন এর সমাজসেবীদের তালিকার শীর্ষ দশে ছিলেন। বিল গেটস এবং মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসের শুরু করা গিভিং প্লেজেও কাজ করেছেন স্বামী-স্ত্রী।
কিন্তু কেন তাঁরা গিভিং প্লেজে যোগ দিয়েছেন
এর কারণ জানিয়ে একবার দম্পতি বলেছিলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অনেক দেশেই বৈষম্য দ্রুত বাড়ছে। তরুণরা আজ তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিত বোধ করেন এবং কেউ কেউ আরও অনেক বেশি কিছু চেয়ে ফেলেন, কিন্তু প্রত্যাশা কম। বিশ্বে বিভাজন এবং উত্তেজনাও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকে এটা ভাবতে হবে যে আমাদের কী করা উচিত? এই প্রশ্নটাই এখন নীলেকানির মতো ধনী ব্যক্তিদের নিজেদের জিজ্ঞাসা করতে হবে। এমনটাই বলেই তাঁদের দাবি, সম্পদের সঙ্গে দায়িত্ববোধও আসে। জনস্বার্থে কাজ করাটা তাই জরুরি।
গিভিং প্লেজ কী কাজ করে
দ্য গিভিং প্লেজ হল বিল গেটস এবং ওয়ারেন বাফেটের শুরু করা একটি চ্যারিটি ক্যাম্পেন। ধনী ব্যক্তিরা যাতে, অন্যদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন, এর জন্য তাঁদের সম্পদের অর্ধেকেরও বেশি দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে এই ক্যাম্পেনের পথ চলা শুরু। জুন ২০২২ পর্যন্ত, ২৮টি দেশের ২৩৬ জন এই ক্যাম্পেনে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই বিলিয়নেয়ার। এখন চ্যারিটি ক্যাম্পেনে ফান্ডে জমা রয়েছে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।