ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সিগারেটের আসক্তি ত্যাগ করা কঠিন কারণ এতে নিকোটিন নামক একটি রাসায়নিক থাকে। এই রাসায়নিকটি সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছায় এবং শিথিলতার অনুভূতি দেয়। এই কারণেই মানুষ বারবার সিগারেট খায়। কিন্তু আমরা যদি আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে কিছু পরিবর্তন আনি, তাহলে আমরা এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারি।
প্রথমে কারণটি নির্ধারণ করুন
আপনি কেন ধূমপান ত্যাগ করতে চান তা নিজের কাছে স্পষ্ট করে বলুন। একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। আপনি একজন কাউন্সেলরের সাহায্যও নিতে পারেন।
নিকোটিন প্রতিস্থাপন ব্যবহার করুন
যখনই ধূমপানের ইচ্ছা হবে, নিকোটিন গাম, প্যাচ বা লজেঞ্জ ব্যবহার করুন। এই জিনিসগুলি ধীরে ধীরে শরীরকে নিকোটিন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
বন্ধুদের সাহায্য নিন
ধূমপান ত্যাগ করার জন্য একজন ভালো বন্ধুর সমর্থন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন কেউ সমর্থন করে, তখন মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং অভ্যাসটি দ্রুত ত্যাগ করা হয়।
মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
অ্যালকোহল পান করার সময় সিগারেটের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যেতে পারে। অতএব, এই ধরনের জিনিস থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন
হঠাৎ করে কোনও কিছু ত্যাগ করা কঠিন। অতএব, যদি আপনি তাৎক্ষণিকভাবে এটি ত্যাগ করতে না পারেন, তাহলে ধীরে ধীরে সিগারেটের সংখ্যা কমিয়ে দিন। প্রতিদিন একটু কম পান করুন এবং দু' টি সিগারেটের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ান।
মুখ ব্যস্ত রাখুন
যখন আপনার সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা হবে, তখন চিনিমুক্ত চুইংগাম, হার্ড ক্যান্ডি, বাদাম, আখরোট অথবা শুকনো গাজর খান। এটি আপনার মনকে সিগারেট থেকে সরিয়ে দেবে।
চাপ এড়িয়ে চলুন
মানুষ যখন মানসিক চাপে থাকে তখন বেশি সিগারেট খায়। তাই আরামে থাকার চেষ্টা করুন। ধ্যান, যোগব্যায়াম বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো কৌশলগুলির সাহায্য নিন।
যোগব্যায়াম করুন
প্রতিদিন হাঁটা, ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করার অভ্যাস করলে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকে। এর ফলে সিগারেটের প্রতি আকাঙ্ক্ষা ধীরে ধীরে কমে যায়।