গত রবিবারের ঘটনা। ঠাকুরপুকুর 'হিট অ্যান্ড রান'-এর ঘটনায় কলকাতা জুড়ে হুলুস্থুল পড়ে যায়। জানা যায় মদ খেয়ে পথচারীকে 'পিষে মেরেছেন টলিপাড়ার পরিচালক ভিক্টো। আপাতত তিনি রয়েছেন পুলিশ হেফাজতে। আর হেফাজতে থাকাকালীনই ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাসকে জেরা করে হতবাক লালবাজারের পুলিশ আধিকারিকরা।
ঠিক কী বলেছেন অভিযুক্ত পরিচালক?
সংবাদপ্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুসারে ভিক্টো পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন, ‘দিন ও রাতের পার্থক্য বুঝতে পারিনি। মদ খেয়ে দিনের বাজারের রাস্তা রাতের মতোই ফাঁকা মনে করে ঢুকে পড়েছিলাম সেখানে।’ জানা যাচ্ছে জনবহুল ও বাজারে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে সিদ্ধান্ত কেন ঢুকে পড়লেন? সেই প্রশ্নেও তাঁকে করেছেন গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ভিক্টো গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করেছেন, ঠাকুরপুকুর বাজারের রাস্তাটি তাঁর কাছে খুবই পরিচিত। ওই রাস্তা দিয়ে গভীর রাতেও গাড়ি চালিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করেন তিনি। কখনও রাত ২টো, আবার রাত ৩টের পরও সে ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়েছেন। এমনকি তিনি নাকি সেখান দিয়ে এর আগে ৬০-৮০তে গাড়ি চালিয়েছেন, কখনও সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিদ্ধান্ত।
পরিচালকের দাবি মতো, অত রাতে ঠাকুরপুকুর বাজার সাধারণত জনবহুল থাকে না। সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তাও থাকে সম্পূর্ণ ফাঁকা। তাই শর্টকাট ধরার জন্য তিনি প্রায়ই ওই বাজারের রাস্তাই ব্যবহার করেন।
আর কী বলেছেন?
সেদিন ঠিক কী করেছিলেন তিনি? এবিষয়ে সিদ্ধান্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রথমে দক্ষিণ কলকাতার একটি মলের পানশালায় মদ্যপান করেন, সেখান থেকে এক অভিনেত্রীর বাড়িতে গিয়ে ফের মদ খান। আর তাই মদের পরিমাণ এতটাই বেশি হয়ে যায় যে তাঁর কোনও হুঁশই ছিল না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, অভিনেত্রী ঋ সেনগুপ্ত তাঁর পাশেই বসেছিলেন। আর পিছনের সিটে ছিলেন কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু। দুর্ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন তাঁরা নেশায় বুঁদ হয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। পুলিশের কাছে পরিচালক সিদ্ধান্তের দাবি, প্রচণ্ড নেশা করে গাড়ি চালাতে চালাতে গিয়ে তার চোখও বুঝে আসছিল। অভ্যাসের বশেই তিনি প্রায় ঘুমন্ত অবস্থায় ঢুকে পড়ে ওই বাজারে। তখন যে দিন, রাত নয়, তা নাকি তাঁর খেয়ালই ছিল না।