তসলিমা নাসরিন এদিন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বসলেন। লেখিকা এদিন দাবি করেন ইউনুস নাকি চিন সফরে গিয়ে পোকামাকড় খেয়েছেন। একই সঙ্গে একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশি জিহাদিদের কাছে।
আরও পড়ুন: শাহিদের সঙ্গে প্রথম কাজ, আমিশা-মনীষার ভাইদের সঙ্গে প্রেম! চিনতে পারছেন অভিনেত্রীকে?
কী ঘটেছে?
তসলিমা নাসরিন যতই বাংলাদেশ ফেরার অনুমতি না পান, তিনি ভারতে বসেই কিন্তু সেই দেশের ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর রাখেন। সেগুলো নিয়ে নিয়মিত লেখালেখিও করেন। এদিন তসলিমা তাঁর পোস্টে ইউনুসের সাম্প্রতিক চিন সফর নিয়ে লেখেন। জানান সেখানে গিয়ে নাকি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পোকামাকড় খেয়েছেন। এরপরই তিনি মনে করিয়ে দেন কোরানের কথা। এদিন তসলিমা তাঁর পোস্টে লেখেন, 'ইউনুস সাহেব তো হারাম কাজ করেছেন। চিনে গিয়ে পোকামাকড় খেয়ে এসেছেন। নিজেই বললেন ভাজা ফড়িং খেয়েছেন। অথচ কোরানে হাদিসে স্পষ্ট লেখা পোকামাকড় খাওয়া হারাম।'
শুধু কি তাই, যেখানে বাংলাদেশি জিহাদিরা এত অ্যাক্টিভ তাঁরা সেখানে কী করে এই ঘটনা মেনে নিল সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। জানতে চান, 'এখন কী করবে জিহাদিরা? ফতোয়া জারি করবে? করবে না। ইউনুস জিহাদিদের স্বার্থ দেখছেন। জিহাদিরা ইউনুসের স্বার্থ দেখছে। স্বার্থের জন্য হারামখোর নাস্তিকের পায়ে মাথা ঠেকাতেও জিহাদিদের আপত্তি নেই। জোরে কন, ঠিক কি না।'
কে কী বলছেন?
এদিন এক ব্যক্তি তসলিমা নাসরিনের এই পোস্টে লেখেন, 'দিনে দিনে আপনি কেমন যেন গ্রামের মহিলাদের মতো হয়ে যাচ্ছেন ক্রমশ! বাদ দেন তো ওদের নিয়ে লেখালেখি।' আরেক ব্যক্তি লেখেন, 'পৃথিবীর অন্তত আটানব্বই শতাংশ নেতারাই নাস্তিক। তাদের মধ্যে আটানব্বই শতাংশ আবার জনমতের স্বার্থে বা ক্ষমতার স্বার্থে বা ভোটের স্বার্থে ধার্মিক হওয়ার অভিনয় করেন। আমি রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় উভয় শ্রেনীর নেতার কথাই বলছি।' তৃতীয় জনের কথায়, 'জিহাদিরা ইউনূসের উপর নির্ভরশীল আবার ইউনুস জিহাদিদের উপর নির্ভরশীল, এটাই রাজনীতির নিয়ম।'
আরও পড়ুন: নায়ক-খলনায়ক সব নিজেই! দ্বৈতের বদলে তিনটি চরিত্রে ধরা দেবেন হৃতিক? কৃষ ৪-এ থাকছে আর কোন চমক?
প্রসঙ্গত সম্প্রতি চিনে গিয়ে ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্য নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন ইউনুস। তিনি নাকি বলেছিলেন, 'উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি (গার্ডিয়ান বা অভিভাবক)। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চিনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।'