আপাতত হার্দিক পান্ডিয়া আর নাতাশা স্ট্যানকোভিচের ডিভোর্সের খবর নিয়ে সরগরম গোটা দেশে। টি ২০ বিশ্বকাপ খেলতে যখন ব্যস্ত এই অল রাউন্ডার, তখন কাঁটাছেড়া চলছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে নাতাশাকে নাকি নিজের ৭০ শতাংশ সম্পত্তি দিতে হয়েছে ক্রিকেটারকে। জানেন কি, মোট কত কোটির সম্পত্তি রয়েছে হার্দিকের?
হার্দিক পান্ডিয়া প্রায়শই তার রাজকীয় জীবন নিয়ে খবরে থাকেন। ক্রিকেটের মাঠে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে ভক্তদের মন কেড়ে নেওয়া পান্ডিয়া আয়ের দিক থেকে এগিয়ে। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, এই তারকা ক্রিকেটারের মোট সম্পদের মূল্য প্রায় ১১,৪ মিলিয়ন ডলার (৯৫ কোটি টাকার বেশি)। ক্রিকেট ম্যাচ ছাড়াও তিনি ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচুর আয় করেন।
২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডেতে অভিষেক হয়। ক্রিকেট কেরিয়ারে দ্রুত উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে হার্দিকের। আর ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আয়ও। ম্যাচ ফি বাড়ায় সম্পত্তিও বাড়িয়েছেন। তার আয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল ক্রিকেট। আইপিএল এবং বিসিসিআই দ্বারা প্রদত্ত ফি থেকে একটি ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন হয়।
একাধিক সাক্ষাৎকারে হার্দিককে বলতে শোনা গিয়েছে, ছেলেবেলা বেশ আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিয়েই কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। রিপোর্ট অনুসারে, হার্দিক এখন প্রতিটি ওয়ান ডে ম্যাচের জন্য ২০ লাখ, টেস্ট ম্যাচের জন্য ৩০ লাখ, ও টি২০-র জন্য ১৫ লাখ পান। আর আইপিএলের হিসেব ধরলে ২০২২ সালে গুজরাট টাইটানস থেকে পেয়েছিলেন ১৫কোটি। আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন হিসেবে আয় হয়েছে আরও বেশি।
সামাজিক মাধ্যম থেকে মোটা অঙ্কের আয় হয়। এছাড়াও হার্দিক BoAt, Sin Denim, Gulf Oil India, Villain, Dream11, Xlerate, Souled Store, Amazon Alexa, Reliance Retail, Star Sports Monster Energy, SG Cricket-এর মতো ব্র্যান্ডের মুখ।
২০১৬ সালে হার্দিক গুজরাটের ভাদোদরার পশ এলাকা দিওয়ালিপুরায় প্রায় ৬ হাজার বর্গফুটের একটি বাড়ি কিনেছিলেন। এই বাড়ির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩.৬ কোটি টাকা। এছড়া শোনা যায়, একাধিক রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করে রেখেছেন হার্দিক।
হার্দিকের গাড়ির সংগ্রহও যে কারও চোখ ছানাবড়া করে দেবে। জানা যায়, পান্ডিয়ার সংগ্রহে রয়েছে ৬ কোটি টাকার বেশি মূল্যের একটি রোলস রয়েস, ৪ কোটি টাকার একটি ল্যাম্বরগিনি হুরাকান ইভি, অডি A6, রেঞ্জ রোভার ভোগ, জিপ কম্পাস, মার্সিডিজ জি-ওয়াগন, পোর্শে কেয়েন এবং টয়োটা