পরমা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জানান তাঁর নাম নাকি নেই ভোটার তালিকায়। বিগত কয়েক বছর ভোট দিতে পারেননি বলেও গায়িকা এদিন তাঁর পোস্টে জানান।
কী ঘটেছে?
এদিন পরমা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জানান দুইবার তিনি ভোট দিতে গিয়ে শোনেন যে লিস্টে তাঁর নাম নেই। তাই নাকি তিনি আর ভোট দিতে যান না। এই বিষয়ে গায়িকা লেখেন, 'আরও একটা ইন্টারেস্টিং তথ্য শেয়ার করি। বিগত এক দশক ধরে আমার ভোটের লিস্টে নাম নেই। আগে যতবার ভোট দিয়েছি , ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি লোক এসে লিস্টে নাম আর আইডি চেক করে যেতেন দেখেছি। এখন যেহেতু ইলেকট্রনিক ভোটিং হয় , এরা আর আসেন না , এরকমটাই ভাবতাম। তারপর সরাসরি আধার , ভোটার কার্ড নিয়ে দু বার ভোট দিতে গিয়ে 'লিস্ট এ নাম নেই শুনে ফিরে আসতে হয়েছে। তারপর থেকে সত্যিই কথা আমি আর ভোট দি না। লিস্টে নাম নেই শুনতে লজ্জা লাগে । বাহান্ন বছর একই অ্যাড্রেসে থাকার পরও। যাক গে।'
তিনি এদিন আরও জানান, 'সম্প্রতি আমার বড় ছেলে যার বয়স একুশ , সে আগামী বছরে ভোট দেবে বলে আলিপুরে নাম এন্ট্রি করাতে ভেরিফিকেশন করাতে গিয়েছিল। আমার সমস্ত ডকুমেন্টস নিয়ে । ফিরে এসে বলল যে আমাদের গড়িয়াহাট রোডের গোটা বাড়ি টার সমন্ধে নাকি ওদের ডেটাবেসে কোনো তথ্যই নেই! জাস্ট ভাবুন। এই বাড়িতে আমরা প্রায় ছয় জন ভোটার থাকি। একতলায় পশ্চিমবঙ্গের অ্যাডভোকেট জেনারেলের ( উনি আমাদের একজন সহ-মালিকের ভাড়াটে ), বাড়ির পাশে পুলিশ স্টেশন। অথচ বাড়িরটি ভোটের তালিকা থেকে হাওয়া।'
পরিশেষে গায়িকা এদিন জানতে চান নি তাঁদের কী করণীয় এক্ষেত্রে। লেখেন, 'আমার কি বুঝতে ভুল হল, নাকি এরম হয় আজকাল? আমি যদি ভুল বুঝে থাকি ,তাহলে অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী। নয়তো কি করণীয় ,যদি বলে দেন উপকৃত হবো।'
অনেকেই পরমার এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'সেলিব্রেটিদের ক্ষেত্রেও এসব হয়। সেখানে আমরা তো ছোটখাটো নাম পরিচয়হীন মানুষ।' আরেকজন লেখেন, 'নৈরাজ্যর আরেকটি উদাহরণ আর কি।' কারও আবার মতে, 'তোমাকে এখন আবার ছয় নম্বর ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। তোমার ভোটার কার্ডের জেরক্স দেবে অটো সাইন করে। আধার কার্ডের জেরক্স দেবে। আর ফর্মটা সঠিকভাবে পূরণ করবে। SDO অফিসে ইলেকশন এর একটা আলাদা বিভাগ আছে। সেখানে সব নথি নিয়ে চলে যাবে। এখন তোলা পাসপোর্ট ছবি দু কপি নিয়ে যাবে। সাথে ভোটার ও আধারকার্ড। তার জেরক্স কপি। সেদিনই হয়ে যাওয়া উচিত। এখন অনলাইনেও আবেদন করা যায়। তবে অফিসে গিয়ে সরাসরি তোমারটা করে নাও।'