কিছুদিন আগে মহাকুম্ভে গেছিলেন মমতা কুলকার্নি। সেখানেই তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। এরপর তাঁর এই মহামণ্ডলেশ্বর নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবার সেই বিতর্ককে কেন্দ্র করে বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন কিন্নর আখড়ার প্রধান লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শরিফুলই সইফের উপর হামলা চালিয়েছে, ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে নিশ্চিত মুম্বই পুলিশ!
কী ঘটেছে?
কিন্নর আখড়া বিগত কিছুদিন ধরেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এবার শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি কিন্নর আখড়ার তরফে ঘোষণা করা হল এই বিতর্কের পর মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে সরানো হল প্রাক্তন বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নিকে।
বিজ্ঞপ্তি জারি করে জুনা আখড়ার তরফে এদিন জানানো হয় যে প্রাক্তন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি এবং তাঁর গুরু লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠি দুজনকেই কিন্নর আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যেভাবে মমতার মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া নিয়ে বিতর্ক এবং অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল সেটার জন্যই যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গত সপ্তাহেই মমতা কুলকার্নিকে মহামণ্ডলেশ্বর পদে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেন এই প্রতিষ্ঠানের একাধিক সদস্য। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন তাঁকে এভাবে এই পদে নিয়োগ করার পদ্ধতি নিয়ে বিশেষ করে যেখানে মমতা কুলকার্নির এমন একটা অতীত আছে। কেবল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়, সাধারণ জনমানসের তরফেও এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে।
কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠি যিনি কিনা কিন্নর আখড়ার একজন অন্যতম প্রধান এবং পরিচিত মুখ ছিলেন এবং একই সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট তাঁকে হয়তো শীঘ্রই তাঁর সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। আখড়ার তরফে জানানো হয়েছে মমতা কুলকার্নিকে তাঁদের অজ্ঞাতে মহামণ্ডলেশ্বর বানানো হয়েছে।
গত শুক্রবার মমতা কুলকার্নি মহাকুম্ভে আসেন। সেখানে তিনি পিণ্ডদান করেন নিজের। গ্রহণ করেন সন্ন্যাস। তারপরই মহামণ্ডলেশ্বর পদে আসীন হন তিনি। নিজের সন্ন্যাস গ্রহণ করার বিষয়ে মমতা কুলকার্নি জানিয়েছিলেন, 'মহাদেব, মহাকালীর আদেশ ছিল। আমার গুরুর আদেশ ছিল। এই জন্য আজকের দিন উনি বেছেছেন আমি কিছু করিনি।'