বলিউডের ‘হিরো নম্বর ১’ গোবিন্দা আজকাল প্রতিনিয়ত খবরের শিরোনামে। স্ত্রী সুনীতা আহুজার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চর্চা দিয়ে আলোচনা তিনি। একই সঙ্গে এবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করতে দেখা গেল তাঁকে। গোবিন্দা জানান, বলিউডে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়।
বলিউড তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে: গোবিন্দা
অভিনেতা মুকেশ খান্নার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য গোবিন্দা সাক্ষাৎকার দেন সম্প্রতি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তিনি অনেক মজার মজার গল্প শেয়ার করলেও, অনেক বিস্ফোরক দাবিও করেন। কেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গোবিন্দা দাবি করেন, বলিউডের লোকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল। তিনি বলেন, ‘আমি সম্মানহানির একটা লম্বা সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম এবং এটা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। ওরা আমাকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। বুঝলাম এরা সবাই শিক্ষিত মানুষ, আর আমি, একজন অশিক্ষিত বহিরাগত, ওদের জায়গায় ঢুকে পড়েছি। তাই তারা আমার সঙ্গে খেলা শুরু করেছে। আমি তাদের নাম নিতে পারি না, কারণ এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার জন্যই তো, আমি এখনও বেঁচে আছি। যখন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়, তখন আমার প্রাণনাশের চেষ্টাও শুরু হয়। অনেকে আমার বাড়ির বাইরে বন্দুক নিয়ে ধরা পড়েছিল এবং আমাকে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হচ্ছিল। এসব ষড়যন্ত্রের পর আমার স্বভাব বদলে গেল। ভাবলাম, রাজনীতি করি বা না করি, বর্তমানে এরকমই অবস্থা চারদিকের।’
গোবিন্দার ডিভোর্সের জল্পনা
কাজের সূত্রে, গোবিন্দাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে রঙ্গিলা রাজা ছবিতে। সম্প্রতি 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'-তে তিনি ঘোষণা করেছেন যে পাইপলাইনে তাঁর তিনটি ৩টি নতুন প্রোজেক্ট রয়েছে। অন্য দিকে মাসের শুরুতে স্ত্রী সুনীতার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে জোরদার চর্চায় ছিলেন গোবিন্দা। তবে পরবর্তীতে দু'জনেই এটিকে মিথ্যা বলে জানান।
গোবিন্দা-পত্নী সুনীতা তাঁর বিয়ে ভাঙার খবরে, পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। মিডিয়াকে বলে ওঠেন, ‘কোই মায়কালাল নেহি যো হামে ওর গোবিন্দাকো আলগ করে… (এমন কোনো ব্যক্তি নেই, যে আমাকে আর গোবিন্দাকে আলাদা করতে পারে।)’ এরপর কেন স্বামী আলাদা বাড়িতে থাকেন, সেটাও জানান। সুনীতার দাবি, গোবিন্দা রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর, নানা ধরনের লোক আসত দেখা করতে। তিনি ও তাঁদের মেয়ে, ঘরে ছোট পোশাকে থাকতেন। আর বাড়ির মেয়েদের এভাবে বাইরের লোক দেখুক, চাননি অভিনেতা। তাই বাড়ির ঠিক সামনেই, আরেকটি বাড়ি ভাড়া করেন। সেটিকে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয় বানান।