‘পুষ্পা-২’ আসছে, এটা নিয়ে গোটা দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। আর এবার বাঙালি সিনেমাপ্রেমীদের এই ছবি নিয়ে আলাদা ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। কারণটা এতদিনে অনেকেই জেনে গিয়েছেন। প্রথমবারের জন্য কোনও প্যান ইন্ডিয়া ছবি তেলুগু, তামিল, হিন্দি, কন্নড়, মালায়ালম ভাষার পাশাপাশি বাংলাতেও মুক্তি পাচ্ছে।
তবে ছবি মুক্তির আগে সামনে এসেছে পুষ্পা-২এর টাইটেল ট্র্যাক। পুষ্পা ২র টাইটেল ট্র্যাক বাংলায় ভাষায় গেয়েছেন তিমির বিশ্বাস। আর গানটির লিরিক্স লিখেছেন শ্রীজাত। পুষ্পার মতো এমন বিগ বাজেট ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ থেকে কাজের অভিজ্ঞতা Hindustan Times Bangla-র সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তিমির বিশ্বাস।
তিমির বিশ্বাস বলেন, ‘এই গানটার লিরিক্স লিখেছেন শ্রীজাত দা (শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়)। উনিই এই গানের জন্য আমার নাম প্রস্তাব করেছিলেন। এই ট্র্যাকটা তো আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তাই ওঁরা শ্রীজাত দাকে জিগ্গেস করেন, এধরনের গান বাংলাতে কে গাইতে পারবেন? তখনই শ্রীজাতদা আমার কথা ওঁদের বলেছিলেন। এরপর আমার যে সমস্ত গান আছে, সেগুলি ওনারা রিসার্চ করেন। খতিয়ে দেখেন আমার গলাটা আদৌ এই গানের সঙ্গে যাবে কিনা! সেগুলো দেখার পর ওনাদের মনে হয়, আমি হয়ত এটা করতে পারব। তখন ওনারা আমাকে ফোন করেন, আমাকে এই গানটা গাওয়ার অনুরোধ করা হয়।’
তিমির বিশ্বাস আরও জানান, ‘আমাকে চেন্নাই গিয়ে গানটি রেকর্ড করতে বলা হয়েছিল। তবে সেই মুহূর্ত আমার পক্ষে ওখানে যাওয়া সম্ভব ছিল না। আমার এখানেও একটা কাজ চলছিল। আমি সেটা ওনাদের জানিয়েছিলাম। তখন ওনারা জানান, ওঁরাই কলকাতায় আসবেন, এখানে গান রেকর্ড হবে। গানের যিনি মিউজিক ডিরেক্টর DSP (Rockstar Devi Sri Prasad), ওঁর একজন ভয়েস রেকর্ডিং অ্যাসিসটেন্ট, নাম অভিষেক কলকাতায় এসেছিলেন। আমরা গান-বাজনা স্টুডিওতে গানটা রেকর্ড করি। অনলাইনে আমাদের সঙ্গে মিউজিক ডিরেক্টর ডিএসপি-ও ছিলেন, গেয়ে গেয়ে ওনাকে পাঠানো হচ্ছিল। উনি গ্রিন সিগনাল দেওয়ার পরই গানটা রেকর্ড করা হয়। খুবই সুন্দরভাবে কাজটা হয়েছে। ওঁরা ভীষণই পেশাদার। খুবই উপভোগ করেছি বিষয়টা।’
পুষ্পা-র মতো সর্বভারতীয়, বিগ বাজেট ছবি, যেটা গোটা দেশ এবং বিদেশেও বহু মানুষ দেখবেন, তাতে গান গেয়েছেন, সেই অনুভূতিটা কেমন?
তিমির: এটা আমার কাছে সত্যিই বড় একটা পাওনা। খুবই ভালো লাগছে। এই যে গানটা গাওয়ার পর এত ফোন আসছে, আপনিও ফোন করলেন, এটা বেশ উপভোগ্য় আমার কাছে। অনেকেই গানটি শুনছেন। বাংলায় এই গানটা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। সবথেকে বড় কথা বাংলা একটা আঞ্চলিক ভাষা, সেটাকে ওঁরা এতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। এটা সত্যিই তো একটা বড় পাওনা। আমার গাওয়ার থেকেও বড় কথা, বাংলাতেও ডাব করার কথা ওঁরা ভাবছেন।