Baba Siddique Murder: সলমনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্যই খুন হয়েছেন বাবা সিদ্দিকি, বলছে পুলিশ

সলমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই খুন হতে হয়েছে বাবা সিদ্দকিকে। প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী, NCP নেতা খুনের ঘটনার আড়াই মাস পর এমনই কথা জানাচ্ছে মুম্বই পুলিশ। বান্দ্রা পূর্বে বস্তি পুনর্বাসন কর্তৃপক্ষে (এসআরএ)র প্রকল্প নিয়ে বিরোধ কোনওভাবেই এই খুনের আসল কারণ নয়। বাবা সিদ্দকি খুনের ঘটনায় এমনটাই জানাচ্ছে সিটি ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এই মামলায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া ২৬জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে চলেছে পুলিশ।গত ১২ অক্টোবর বান্দ্রা ইস্টে ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিসের কাছে গুলি করে খুন করা হয় বাবা সিদ্দিকিকে। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল রাজস্থানে কালো হরিণ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ এপ্রিল সলমন খানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাং।বাবা সিদ্দিকির খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'প্রাথমিকভাবে, বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানের অভিযোগ অনুযায়ী আমরা খুনের ঘটনার তদন্ত করেছি। তবে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে ঝামেলার কারণে এই খুন হয়নি। এধরনের বিরোধের কারণে খুন হওয়ার কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। যদিও আমরা কয়েকজন ডেভেলপারের বক্তব্য রেকর্ড করেছি, কিন্তু তেমন কিছুই বের হয়ে আসেনি।একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'প্রাথমিকভাবে, বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানের অভিযোগ অনুযায়ী আমরা খুনের ঘটনার তদন্ত করেছি। তবে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে ঝামেলার কারণে এই খুন হয়নি। এধরনের বিরোধের কারণে খুন হওয়ার কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। যদিও আমরা কয়েকজন ডেভেলপারের বক্তব্য রেকর্ড করেছি, কিন্তু তেমন কিছুই বের হয়ে আসেনি। যদিও আমরা যেকোনও একটির উপর নির্ভর করছি না।সন্দেহভাজন, শুভম লোনকার ওরফে শুভ, গুলি চালানোর দুদিন পর দায় স্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে আপলোড করেছেন।'প্রসঙ্গত পলাতক লোনকার দাবি করেছিলেন যে এই খুনের পিছনে বিষ্ণোই গ্যাং-এর হাত ছিল। অভিযুক্ত আনমোল বিষ্ণোই কানাডায় লুকিয়ে আছেন। যদিও পুলিশ তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সিদ্দিকির ছেলে জিশানের এক্স-এ একটি পোস্টের পরে প্রাথমিকভাবে এই খুনে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে ঝামেলার বিষয়টিও খুনের কারণ হতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। জিশান সরকারি আধিকারিকদের কাছেও এই SRA প্রকল্প সম্পর্কিত ইস্যুটি উত্থাপন করেছিলেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও তিনি এমনই দাবি করেছিলেন যে তাঁর বাবা দরিদ্রদের জীবন এবং ঘররক্ষা করতে গিয়েই মারা গিয়েছেন। তবে এখন পুলিশ এই তত্ত্বের কথা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে।