দক্ষ অভিনেত্রী, আবার ব্যক্তিগত জীবনেও আপন মর্জির মালিক অপরাজিতা আঢ্য। কাজের ফাঁকে বাকি জীবনটা নিজের মতো করে বাঁচারই পক্ষপাতী তিনি। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ছিল অপরাজির জন্মদিন। ওইদিন বাড়িতে শাশুড়ি মায়ের হাতে রান্নাকরা পঞ্চ ব্যঞ্জনে মধ্যাহ্ন ভোজ সেরেছেন অভিনেত্রী। আবার তাঁর জন্য ছিল বান্ধবীর বিশেষ চমক। ওইদিন ফুল দিয়ে সাজিয়ে অপরাজিতাকে দেবীজ্ঞানে পুজো করেছেন তাঁর কাছের বন্ধু সোমা।
তবে এখানেই শেষ নয়, জন্মদিনের রাতে বন্ধুদের নিয়ে জমিয়ে পার্টি করেছেন অপরাজিতা। ‘যতই ঘুড়ি ওড়াও রাতে, লাটাই তো আমার হাতে’ কিংবা ডিঙ্কাচিকা সহ একাধিক জমকালো গানে জমিয়ে ঠুককো লাগাতে দেখা গিয়েছেন অভিনেত্রীকে। বন্ধুদের সঙ্গে রাত পার্টি জমিয়ে দিয়েছেন একাই। তারই কিছু ঝলক উঠে এসেছে টলিউড অনলাইনের সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এই ভিডিয়ো দেখে বহু অনুরাগী যেমন অপরাজিতাকে ভালোবায় ভরিয়ে দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘লাইফ এর সেরা মুহূর্ত কাটছে…।’ আবার নীতি পুলিশরা তাঁকে 'ন্যাকা', ‘কচি খুকি বলেও আক্রমণ করতেও ছাড়েননি।’
আরও পড়ুন-সদ্য মহা কুম্ভ থেকে ফিরেছেন, জন্মদিনে অপরাজিতাকেই পুজো বান্ধবী সোমার
জন্মদিনের রাতে অপরাজিতার জন্য হাজির ছিল একটা ৬ থাকের কেক। এদিন সবুজ রঙের শর্ট, শারারা স্লিভলেস ড্রেসে ধরা দিয়েছিলেন অপরাজিতা। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পরেছিলেন রুপোলি গয়না, নজর কাড়ে তাঁর নাকের নোলক। এদিন তাঁর বাড়িতে হাজির ছিলেন নব-বিবাহিতা দাদা-বৌদি, শাশুড়ি মা সহ পরিবারের বয়ঃজেষ্ঠ্যরা এবং তাঁর একাধিক বান্ধবী। মূলত তাঁর বন্ধুরাই অপরাজিতার জন্য এই বার্থ ডে পার্টি রেখেছিলেন। হাজির ছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্যও, যাঁকে কিনা অপরাজিতা মেয়ের মতোই স্নেহ করেন। সেই সমস্ত ছবিই পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী।
এদিকে এর আগে জন্মদিনের একটা সুন্দর মুহূর্তের ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন অপরাজিতা। যেখানে দেখা যায় তাঁর কাছের বান্ধবী সোমা অভিনেত্রীকে দেবীজ্ঞানে পুজো করছেন। ভিডিয়োটি পোস্ট করে অভিনেত্রী তাঁর লম্বা পোস্টে লেখেন, ‘জন্মক্ষণে মানবাত্মার মাঝে পরমাত্মার যে উপস্থিতি, তা হৃদয়ের অন্তঃস্থলে রয়ে যায় আজীবন। জন্মক্ষণের সেই লগ্ন যখন ফিরে ফিরে আসে তখন হৃদয়ের মাঝে মনবাত্মা ও পরমাত্মার মেলবন্ধনে যে উৎসব, তারই আয়োজন হয়ে আসে জন্মদিন । এমন মানব জনম রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা। আর তাই মানবজন্মের মতন সমাদরের আর কিছুই নেই, যে জন্মে প্রতি মুহূর্তে থাকে নির্বাচন করে নেওয়ার শক্তি, সেই শক্তির স্বরূপ মহাবিশ্বে ব্যাপ্ত, তিনিই ঈশ্বর; সেই ঈশ্বরের প্রতি আমার বন্ধু সোমা অর্ঘ্য জ্ঞাপন করল আমার জন্মদিনে। আর পাশে পেলাম আরও এক ঐশ্বরিক শক্তিকে, যার স্বরূপ আমার পরিবার… এ উপহার আমার জন্ম লগ্নে কোমল স্পর্শ হয়ে রইল আজীবন… এই তো পাওয়া, এই তো জীবন… ঋদ্ধতা পাথেয় হয়ে রয় নিরন্তর।'