চিরকালই স্পষ্ট বক্তা হিসেবে পরিচিত অভিজিৎ ভট্টাচার্য। স্পষ্ট কথা বলার জন্য বিতর্কও তৈরি হয়েছে বহুবার। গত বছরেই আন্তর্জাতিক সংগীত শিল্পী ডুয়া লিপাকে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল যখন বাদশা সিনেমার গান গাওয়ার সময় অভিজিৎ ভট্টাচার্যের নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। এবার এ আর রহমানের প্রতিও নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য।
বলিউড ঠিকানার সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অভিজিৎ বলেন, অন্নু মালিক, আনন্দ মিলিন্দ, যতীন ললিত সকলেই ওঁর সঙ্গে কাজ করছিলেন তাই ওঁর ব্যস্ত শিডিউল হওয়ার কারণে উনি আমায় সময় দিতে পারছিলেন না। তবে একটি গানে ওঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ এসেছিল আমার।
আরও পড়ুন: বরফের মধ্যে স্ত্রীকে চুম্বন ভেঙ্কটের, হানিমুনের ছবি শেয়ার করলেন পিভি সিন্ধু
রেকর্ডিং করার সেই দিনের কথা মনে করে অভিজিৎ বলেন, আমি সকালের দিকে গান রেকর্ডিং করার সময় নির্ধারণ করেছিলাম। সারাদিন অপেক্ষা করার পর রাত দুটোর সময় আমার কাছে ফোন আসে এবং বলা হয় স্টুডিওয় যেতে। আমি তাঁদের বলি এখন যাওয়া সম্ভব নয় কারণ এখন অনেক রাত হয়ে গেছে। পরের দিন সকালে স্টুডিওয় যাই রেকর্ডিং করার জন্য কিন্তু দেখি রহমান সেখানে নেই।
অভিজিৎ বলেন, রহমানের এক সহকারি আমাকে জানান অসুস্থতার জন্য রহমান অন্য স্টুডিওয় চলে গিয়েছেন। আমি ওঁর জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম কিন্তু দেখা হয়নি। পরে এই বিষয় নিয়ে ওঁকে জিজ্ঞেস করলেও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: দেখতে দেখতে বছর পার! প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে আমির কন্যাকে ইরাকে কী উপহার দিলেন নূপুর?
আরও পড়ুন: দেবের ভরা জোয়ারে জিৎ ইঙ্গিত করলেন তাঁর হাতে তেমন কাজ নেই!
অভিজিৎ বলে চলেন, একটি সিস্টেমের মধ্যে কাজ করতে জানে না রহমান। এটাকে আপনি ক্রিয়েটিভিটি বলতেই পারেন কিন্তু আমি পারি না। রাত ৩ঃ৩৪ মিনিট নাগাদ যদি কেউ আপনাকে সৃজনশীলতার নামে গান রেকর্ড করতে বলে, তাহলে এর আদৌ কি অর্থ হয়, আমার জানা নেই।
বলিউডে প্রায় ৬০০০ গান গেয়েছেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। কাকতালীয়ভাবে ১৯৯৯ সালে শুধুমাত্র একটি গান তিনি এমন গিয়েছিলেন যে গানের সুর দিয়েছিলেন রহমান। তবে অন্য গানগুলি হিট হলেও অভিজিৎ এবং রহমানের মেলবন্ধনে তৈরি ‘অ্যায় নঝরে শুনো না’, এই গানটি একেবারেই মানুষের পছন্দ হয়নি সেই সময়। সব থেকে বড় কথা, যে সিনেমার অংশ ছিল এই গানটি সেই সিনেমাটি ‘দিল হে দিল মে’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল।