নানা সময়ে নানা কথা বলে বিতর্কে জড়ান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সম্প্রতি দলের তরফে তাঁর পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই তিনি এমন একাধিক মন্তব্য করেছেন যা দলকে অস্বস্তিতে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট। তবে এবার সেই কুণাল বামেদের জন্য বিরাট বার্তা দিয়েছেন। সেই পোস্টকে ঘিরে চর্চা একেবারে তুঙ্গে উঠেছে।
কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, বাংলায় তৃণমূল ৩০-৩৫। এবার সিপিএমের কিছু ভোট বাড়বে। আগে বামেদের যে ভোট বিজেপিতে যাচ্ছিল সেটা খানিকটা ফিরবে। দমদম, যাদবপুর, শ্রীরামপুর সহ কিছু আসনে বামেরা দ্বিতীয় হবে। বিজেপি কিছু আসনে তৃতীয়। সামগ্রিকভাবে এর ফলে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ও আসন সংখ্য়া দুটোই বাড়বে। লিখেছেন কুণাল।
এখন প্রশ্ন কেন ভোটের মাঝপথে এই ধরণের পোস্ট করলেন কুণাল? এনিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা অনেকগুলো সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথমত তিনি কি বিজেপিকে সতর্ক করার জন্য় এটা করলেন? নাকি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতির মরিয়া চেষ্টা ? নাকি বামেদের একটু অক্সিজেন দিয়ে বিজেপিকে আরও দুর্বল করার চেষ্টা?
তবে এই পোস্টকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই বামেদের খুশি হওয়ার কথা। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বামেদের নীচুতলার কর্মীদের একটা বড় অংশ বিজেপিকে তলায় তলায় সমর্থন করেছিল বলে খবর। যার জেরে একলাফে আসন বাড়িয়ে ফেলে বিজেপি। কিন্তু এবার তারাই( সেই বাম সমর্থকরা) যদি ফের বামেদের পাশে চলে যায় তাহলে আখেরে লাভ হতে পারে তৃণমূলেরই। কারণ হিসেব বলছে এর জেরে একাধিক ক্ষেত্রে বামেদের ভোট সংখ্যা বাড়তে পারে। কিন্তু সেটা কোনওভাবেই জেতার কাছাকাছি আসবে না। আবার পিছিয়ে যাবে বিজেপি। যার জেরে আখেরে শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল।
এদিকে কুণাল ঘোষ অন্তত তিনটি কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করেছেন। সেখানে শ্রীরামপুর , যাদবপুর ও দমদম কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে কুণালের এই পোস্টের পরে কার্যত আহ্লাদে আটখানা বামেদের অনেকেই। একাধিক নেট নাগরিক তাঁদের মতো করে হিসেব দিতে শুরু করেছেন।
একজন আবার লিখেছেন, এটা আমি প্রথম দফা থেকেই বলছি। কিন্তু মনে হচ্ছে ৩৭ প্লাস হবে।
অপর একজন নেটনাগরিক লিখেছেন, বামেরা শুধু ভোট কাটবে। একটা সিটও জিতবে না। তৃণমূলের আসন বাড়বে কি করে বোধগম্য হল না। কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সংখ্য়ালঘু ভোট কমার ফলে।