আজ, শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট হচ্ছে গোটা দেশে। সর্বত্রই উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে। এই আবহে ভোট দিয়েই দলের দেওয়া দায়িত্ব পালন করে আবার পেশাগত জীবনে ফেরার কথা জানান বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এই মন্তব্যের জেরে মিঠুনকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই নির্বাচন প্রতিশোধের, প্রতিরোধের এবং প্রতিবাদের বলে দাবি করেছেন অভিষেক। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকে ২০২৪ সালে আসন বাড়বে বলেও দাবি করেন তিনি।
আজ, শনিবার সকালে বেলগাছিয়ায় নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়াই নিয়ম। সেটা ভাঙব না। আমি কোনও সময় একসঙ্গে দুটো কাজ করি না। ৩০ তারিখ পর্যন্ত দলের রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছি। আমাকে যা বলা হয়েছিল। তা করেছি। এবার আমি আমার পেশায় ফিরছি।’ এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মিঠুনের উদ্দেশে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘হাওয়া বুঝে গিয়েছেন। তাই এমন বলছেন। ৫ বছর ধরে যে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা চলেছে, তার প্রতিফলন ভোটবাক্সে পড়বে। আমি তিন মাস ময়দানে ছিলাম। বিজেপি বাংলার মানুষকে কোনও সুবিধা দিতে পারেনি। বরং মানুষের সমস্যা বেড়েছে। আজ মানুষের জবাব দেওয়ার দিন।’
আরও পড়ুন: ‘সন্দেশখালিতে পদ্ম ফুটবেই’, ভোট দিয়ে বেরিয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রতিক্রিয়া রেখা পাত্রের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও আজ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তাঁকে আজ খুব ফুরফুরে মেজাজে দেখা যাচ্ছিল। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে হেঁটে গিয়ে ভোট দেন। আর তার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। মিঠুনের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘হাওয়া বুঝে গিয়েছেন, তাই ফিরে যেতে হচ্ছে। আগামী ৪ তারিখ যখন ভোটের বাক্স খোলা হবে তখন দেখতে পাবেন ভারতে নতুন সরকার গঠন হবে। কেউ আটকাতে পারবে না।’ যদিও আজ যে ৯টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে সেসব কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি।
এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ধ্যান করছেন। দক্ষিণ ভারতের কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে দুদিন ধরে ধ্যান চলছে তাঁর। ১৩১ বছর আগে সেই জায়গাতেই ধ্যান করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তারপর যান শিকাগো ধর্মসম্মেলনে। প্রধানমন্ত্রীর এই ধ্যানকে কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেউ ধ্যান করতেই পারেন। কিন্তু সেটা তো ঘরেও হাতে পারে। তার জন্য জণগনের এত টাকা খরচ করা ঠিক নয়। যেখানে মানুষের বাড়ির টাকা আটকে আছে, ৪০০ টাকার সিলিন্ডার ১১০০ টাকা হয়েছে, ৫০ টাকার পেট্রোল ১০০ টাকা হয়েছে, চা–পাতার দাম ৩ গুণ বেড়েছে, তেলের দাম ৩ গুণ বেড়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে, সেখানে এভাবে ধ্যান করা ঠিক নয়। আপনার ধ্যান করতে হয় বাড়িতে করুন।’