আজ, শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট হচ্ছে গোটা দেশে। সর্বত্রই উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে। এই আবহে সপ্তম দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু হতেই সন্দেশখালির বয়ানমারিতে বিজেপি–তৃণমূল সংঘর্ষে মোটরবাইক ভাঙচুর থেকে শুরু করে উভয়পক্ষের জখম হয়েছেন চারজন। মাথা ফাটলো বিজেপি কর্মীর বলে অভিযোগ। তবে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রটি নজরকাড়া হয়ে ওঠে এখানের ঘটা আন্দোলন এবং তারপর স্টিং অপারেশনে বিজেপির ব্যাকফুটে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। এখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে রেখা পাত্রকে। আর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে হাজি নুরুল ইসলামকে। বাম–কংগ্রেসের জোট প্রার্থী নিরাপদ সর্দার। এবার ভোট দিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন রেখা।
আজ, শনিবার সকালেই রেখা পাত্রকে দেখা যায় বসিরহাট থেকে সন্দেশখালি উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারপরই কখনও জলপথে, কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও গাড়িতে বসিরহাট লোকসভা জুড়ে ঘুরে বেড়ান রেখা। অবশেষে নিজের ভোটও দেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে রেখা পাত্র বলেন, ‘যা ২০১১ সালে করতে পারিনি সেটা ২০২৪ সালে করে দেখিয়েছি। এই ভোট মা–বোনদের সম্মানের। যাঁরা এতদিন ধরে অত্যাচার সহ্য করছেন তাঁদের ভোট। সন্দেশখালিতে তাই পদ্ম ফুটবেই।’ সন্দেশখালিতে নিজের বুথে ভোট দেওয়ার আগে সন্দেশখালি অভিযান সংঘের রক্ষা কালী মন্দিরে পুজোও দেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের বাড়িতে পড়ল একের পর এক বোমা, ডোমকলে তুঙ্গে উত্তেজনা
এদিকে সন্দেশখালিতে যে আন্দোলনের জেরে রেখা পাত্র সামনে আসেন সেই বিষয়টি অনেকটা থিতিয়ে যায় স্টিং অপারেশনের পর থেকে। যদিও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করেছিলেন রেখা পাত্রকে। বসিরহাটে সভা করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী হাজি নুরুল ইসলাম জিতলে তিনি সন্দেশখালি আসবেন বলে গিয়েছেন। সেখানে এখন বসিরহাট নির্বাচন প্রেস্টিজ ফাইট। রেখা পাত্রের বক্তব্য, ‘এই সন্দেশখালির পরিবেশ দেখে ভাল লাগলো। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছে সন্দেশখালির মানুষ। তবে কিছু জায়গায় বিজেপি এজেন্টরা বসতে পারছে না। তৃণমূল চক্রান্ত করছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নজর রাখা হচ্ছে।’