গত অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করায় তনুষ কোটিয়ানকে ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে ঢুকিয়ে দেন জাতীয় নির্বাচকরা। যদিও বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির কোনও ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পাননি মুম্বইয়ের এই অফ-স্পিনার, যাঁর ব্যাটের হাতও দুর্দান্ত।
যদিও ইংল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত ভারতের টেস্ট দলে জায়গা হয়নি তনুষের। তবে তিনি ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে বেসরকারি টেস্ট সিরিজের জন্য ভারতীয়-এ দলের স্কোয়াডে ছিলেন। আপাতত কোনও ম্যাচ না খেলেই টেস্ট স্কোয়াড থেকে ছিটকে যেতে হলেও তনুষকে যে অশ্বিনের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করছেন জাতীয় নির্বাচকরা, সেটা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। ওয়াশিংটন সুন্দরকে কোনও কারণে পাওয়া না গেলে তনুষের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়তে পারে, সেটাও একপ্রকার নিশ্চিত।
আপাতত নিজের পারফর্ম্যান্স দিয়েই জাতীয় নির্বাচকদের গুডবুকে ভেসে রইলেন তনুষ কোটিয়ান। তিনি ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম বেসরকারি টেস্টে মাঠে নামার সুযোগ পাননি। তবে দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্টে সুযোগ পেয়েই ব্যাট হাতে চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স মেলে ধরলেন কোটিয়ান, ঠিক যেমনটা তিনি রঞ্জি-সহ ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে বহুবার করে দেখিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের পিচে স্পিনারদের জন্য বিশেষ সাহায্য থাকে না। নর্দাম্পটন কাউন্টি গ্রাউন্ডে সিরিজের দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্টে তাই খুব বেশি বল করার সুযোগ পাননি তনুষ। তিনি প্রথম ইনিংসে ১১ ওভার বল করে ২টি মেডেন-সহ ২৫ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে মোটে ২ ওভার বল করার সুযোগ পান কোটিয়ান। কোনও উইকেট না পেলেও মাত্র ৬ রান খরচ করেন তিনি।
শতরান হাতছাড়া তনুষের
তবে তনুষ চমক দেখান ব্যাট হাতে। তিনি প্রথম ইনিংসে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ বলে ১৫ রান করে আউট হন। মারেন ২টি চার। দ্বিতীয় ইনিংসে ফের আট নম্বরে ব্যাট করতে নামেন তনুষ। তবে ভারতীয় দল ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেওয়ায় নিশ্চিত শতরান থেকে বঞ্চিত হতে হয় কোটিয়ানকে। তনুষ নট-আউট থাকেন ব্যক্তিগত ৯০ রানে। ১০৮ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ১০টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
উল্লেখ্য, তনুষ ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন মাত্র ৬০ বলে। সাহায্য নেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কার। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে কার্যকরী অবদান রাখার এই দক্ষতার জন্যই কোটিয়ানকে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের যথাযথ বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তনুষ কোটিয়ানের ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ার
তনুষ কোটিয়ানের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের পরিসংখ্যান রীতিমতো ঝকঝকে। তিনি ৩৮টি ম্যাচের ৬৮টি ইনিংসে বল করে সংগ্রহ করেছেন সাকুল্যে ১১৩টি উইকেট। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার। সেই সঙ্গে কোটিয়ান ৫৬টি ইনিংসে ব্যাট করে ৪৩.৫০ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ১৯১৪ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ২টি ও হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ১৬টি।